শিরোনাম

কথা রাখছে না রেলপথ মন্ত্রণালয়


নিউজ ডেস্ক:চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ছয়টি প্রকল্প সমাপ্ত করার অঙ্গীকার করেছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। সেগুলোর মধ্যে ‘পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্প ছাড়া পাঁচটি প্রকল্প যৌক্তিক কারণে সমাপ্ত করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। ৬ জানুয়ারি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপ-উন্নয়ন ও পরিকল্পনা অনুবিভাগের পরিকল্পনা শাখা-২ এর উপ-সচিব শাহ ইমাম আলী রেজা স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের চিঠি থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন : এ প্রকল্পে অস্থায়ী সৃজনকৃত এক হাজার ৩৮ জন গেটকিপারের পদ রাজস্বখাতে সৃজন সংক্রান্ত বিষয়ে সংশোধিত প্রস্তাব গত ১ নভেম্বর মহাপরিচালকের দফতর থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া গেটকিপারদের পদ সৃজনের মাধ্যমে রাজস্বখাতে স্থানান্তরের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিধি মোতাবেক বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে, যা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। সুতরাং জুন ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পের অস্থায়ী গেটকিপারদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা সম্ভব হবে না। এজন্য প্রকল্প সমাপ্ত হবে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন : প্রকল্পটি চলতি অর্থবছরে শেষ করা সম্ভব হবে না। শেষ করা হলে প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী গেটকিপারদের গেটগুলো অরক্ষিত হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের বিপরীতে অস্থায়ীভাবে সৃজিত ৮৫১ জন গেটকিপার রাজস্ব খাতে সৃজন সংক্রান্ত তথ্য ও প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পে নিয়োগ দেওয়া গেটকিপারদের পদ সৃজনের মাধ্যমে রাজস্বখাতে স্থানান্তরের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিধি মোতাবেক বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে, যা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।

সুনামগঞ্জ জেলা সদরে রেলওয়ে সংযোগের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বিশদ ডিজাইন : এ প্রকল্পের কাজ বর্ষা মৌসুম ও কোভিড-১৯ জনিত কারণে ব্যাহত হওয়ায় সময়ানুযায়ী প্রকল্পটি সমাপ্ত করা হচ্ছে না।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রস্তাবিত বে-টার্মিনাল রেলওয়ে সংযোগের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বিশদ ডিজাইন : এ প্রকল্পের এলিগমেন্ট এখনও চূড়ান্ত হয়নি। পোর্ট থেকে আরও দুটি নতুন এলিগমেন্ট সংযোগ করায় এলিগমেন্ট চূড়ান্ত করার কার্যক্রমে সময় প্রয়োজন হচ্ছে। স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হচ্ছে। সমীক্ষার কার্যক্রম সমাপ্ত করে ডিজাইন চূড়ান্ত করতে অধিক সময় প্রয়োজন হবে। ফলে প্রকল্পটি এ অর্থবছরে সমাপ্ত করা সম্ভব হবে না।

ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল প্রকল্প প্রস্তুতিমূলক সুবিধার জন্য কারিগরি সহায়তা : প্রকল্পটির কার্যক্রম হওয়ার জন্য আরটিএপিপি সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে সংশোধিত সমীক্ষা প্রস্তাব প্রণয়ন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে পরিকল্পনা কমিশনে পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উঠে আসে টিএপিপির চেয়ে জিওবি অর্থ সামান্য বেশি। সংশোধিত টিএপিপি অনুমোদন না হলে এ অতিরিক্ত আরএডিপি পাওয়া সম্ভব না। ফলে পরামর্শকের চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। তাই প্রকল্পটি এ অর্থবছরে সমাপ্ত করা সম্ভব হবে না।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপ-উন্নয়ন ও পরিকল্পনা অনুবিভাগের পরিকল্পনা শাখা-২ এর উপ-সচিব শাহ ইমাম আলী রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আপনাকে অফিস টাইমে ফোন দিতে হবে। আমি অসুস্থ, এখন কথা বলতে পারব না। তবে এরকম একটা প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র:ঢাকাপোষ্ট, ২২ জানুয়ারি ২০২


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.