নিউজ ডেস্ক: জামালপুরের পিয়ারপুর রেলস্টেশন থেকে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় আসার জন্য এক যাত্রী একটি টিকিট কেনেন। ভাড়া ১৬৫ টাকা। তবে তাঁর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৩০০ টাকা। অবাক করা ব্যাপার হলো, গত ৬ মার্চের ওই টিকিট অনুযায়ী ভ্রমণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে অপেক্ষা করতে পুরো এক বছর। কারণ টিকিটে তারিখ লেখা রয়েছে ২০২০ সালের ৬ মার্চ।
সংশ্লিষ্ট যাত্রীর করা অভিযোগের উল্লেখ করে এই তথ্য জানান রেলপথ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। লিখিত অভিযোগের সঙ্গে ওই টিকিটের নমুনাও সংযুক্ত করা হয়েছে। সেটি হাতে নিয়ে দেখা গেল, টিকিটে যাত্রার তারিখের ঘরে সিল মেরে ৬ মার্চ ২০২০ সাল লেখা রয়েছে। তাতে টিকিট ইস্যুকারীর স্বাক্ষরও অস্পষ্ট।
পিয়ারপুর থেকে রেলপথে ঢাকার দূরত্ব ১৫১ কিলোমিটার। এই পথ ভ্রমণের জন্য টিকিটে ভাড়া লেখা রয়েছে ১৬৫ টাকা। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই যাত্রীকে ৩০০ টাকা দেওয়ার পর টিকিট দেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যাত্রী কয়েক দিন আগে রেল ভবনে হাজির হয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে এই টিকিটসহ অভিযোগ তুলে ধরে প্রতিকার চান।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে অভিযোগ নানা ধরনের। ভুক্তভোগীরা তা প্রমাণসহ রেল মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করছে। ওই যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন, টিকিট বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বাড়তি টাকা না দিলে তাঁকে আসন নির্ধারণসহ টিকিট দিতে রাজি হননি। তাই বাধ্য হয়েই তাঁকে বাড়তি টাকা দিতে হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
আতিকুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার সকালে কালের কণ্ঠকে জানান, রেলমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকায় রেলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ২০১৯ সালে পরবর্তী বছরের টিকিট বিক্রির মতো দায়িত্বহীন আচরণ সম্পর্কে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে।
সুত্র:কালের কন্ঠ, ২০ মার্চ, ২০১৯