নিউজ ডেস্ক: নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। শুক্রবার সকাল ১০টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদ উপলক্ষে রেলওয়ের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ১৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। তার মধ্যে ১৪টি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে। সুন্দরবন, ধুমকেতু ও রংপুর এক্সপ্রেসসহ চারটি ট্রেন ছাড়তে দেরি হচ্ছে। রংপুর এক্সপ্রেস সাত ঘণ্টা দেরিতে ছাড়বে। এজন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।
নূরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার আন্তঃনগর ও লোকাল মিলে ৫২টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। ইতোমধ্যে ১৮টির মধ্যে ১৪টি ট্রেন ঠিকমতো ছেড়ে গেছে। এটা কি সাফল্য নয়?
কারণ বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশে পরিবহনের সক্ষমতার চেয়ে যাত্রী বেশি। অতিরিক্ত সক্ষমতা ব্যবহার করে যাত্রীদের সেবা দিচ্ছে রেলওয়ে। সার্বিকভাবে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ঈদের পাঁচদিন যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষমতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
শনিবার রংপুর এক্সপ্রেসে শিডিউল বিপর্যয় থাকবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সফলতা ব্যর্থতা জনগণ বিচার করবে। তবে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় রেল ভালো সেবা দিচ্ছে। রংপুর থেকে আলাদা ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে সেটি সময়মতো ঢাকা এসে পৌঁছাবে বলেও জানান মন্ত্রী।
জনগণ রেলকে আপন বাহন মনে করেন মন্তব্য করে রেলমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। আগামী দিনে রেল ব্যবস্থাপনা আরো এগিয়ে যাবে। কোরবানির ঈদের আগে আরো তিন-চারটি নতুন ট্রেন যোগ হবে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ৫০টি নতুন কোচ রেলে যোগ হবে। নতুন কোচ দিয়ে লালমনিরহাট ও রংপুর রুটে চালানো হবে।
ছাদে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এবার ঈদে ট্রেনে উঠার জন্য স্টেশনে কোনো মই থাকবে না। কেউ যদি ছাদে যায়, তাহলে নিজ দায়িত্বে ঝুঁকি নিয়ে যাবে। এতে কোনো অঘটন ঘটলে রেল মন্ত্রণালয় দায় নেবে না।
এর আগে জামালপুরগামী অগ্নিবীণা ও পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস পরিদর্শন করে যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রেলপথ মন্ত্রী।
সুত্র:বণিক বার্তা মে ৩১, ২০১৯