শিরোনাম

আশুলিয়া-কমলাপুর মেট্রোরেল নির্মাণে আগ্রহী চীন

আশুলিয়া-কমলাপুর মেট্রোরেল নির্মাণে আগ্রহী চীন

ইসমাইল আলী: রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় যানজট কমাতে পাঁচটি মেট্রোরেল নির্মাণ করতে হবে। ২০ বছরে এসব মেট্রোরেল নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (আরএসটিপি)। এর মধ্যে একটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। আরও দুটির নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। এবার ঢাকায় চতুর্থ মেট্রোরেল নির্মাণের আগ্রহ দেখিয়েছে চীন।

আশুলিয়া থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এ মেট্রোরেল নির্মাণে জিটুজি ভিত্তিতে অর্থায়নের প্রস্তাবও দিয়েছে দেশটির চায়না রেলওয়ে ১৬তম ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (সিআরসিসি ১৬)। কোম্পানিটির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এবিডিএ) যৌথভাবে মেট্রোরেল নির্মাণ করবে। এতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭৫ কোটি ডলার বা ৩০ হাজার কোটি টাকা।

সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবনা ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) কাছে জমা দেয় চায়না রেলওয়ে। পরে এ নিয়ে ডিটিসিএতে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।

প্রস্তাবনার শুরুতেই নিজের গুণগান তুলে ধরে কোম্পানিটি। এতে বলা হয়েছে, সিআরসিসি ১৬ চীনের একটি শীর্ষ প্রকৌশল কোম্পানি। বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ প্রতিষ্ঠানের তালিকাতেও রয়েছে কোম্পানিটি। সিআরসিসি ১৬ রেলপথ নির্মাণে একটি প্রখ্যাত কোম্পানি ও শহর এলাকায় গণপরিবহন নির্মাণে বেশ দক্ষ। এছাড়া ২০টি শহরে ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেল (সাবওয়ে) ও লাইট রেল নির্মাণে অভিজ্ঞতা রয়েছে কোম্পানিটির। সিআরসিসি ১৬’র বার্ষিক টার্নওভার এক হাজার কোটি ডলারের বেশি।

কোম্পানিটির কার্যক্রমের আরও কিছু বর্ণনা তুলে ধরে বলা হয়, এবিডিএর সঙ্গে যৌথভাবে সিআরসিসি ১৬ ঢাকায় ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি)-২ নির্মাণে আগ্রহী। এক্ষেত্রে লিড পার্টনার হবে সিআরসিসি ১৬। আমরা আশা করছি চীনের সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। ডিটিসিএর নিশ্চয়তা পাওয়ার পর প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে একটি সমঝোতা স্মারক সই করতে হবে। এতে প্রমাণ হবে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপিত হয়েছে। আপনাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক উত্তরের প্রতিষ্ঠায় থাকলাম।

ডিটিসিএ সূত্রমতে, এমআরটি-২-এর রুট হবে আশুলিয়া থেকে সাভার, গাবতলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রধান কার্যালয়ের সামনে দিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত। প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেট্রোরেল নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭৫ কোটি ডলার। তবে জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও অন্যান্য ব্যয় যুক্ত করলে তা ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

এদিকে সিআরসিসি ১৬’র প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ডিটিসিএতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বলা হয়, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সহায়তায় সরকার নগর গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে আরএসটিপি প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে এমআরটি লাইন-৬ বা বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।

ঢাকা-গাজীপুর করিডরে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণের কাজও পূর্ণ গতিতে চলছে। এছাড়া জাইকার সহায়তায় এমআরটি লাইন-১ ও এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলমান আছে। এ দুটি লাইনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ৩২ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেলের সংস্থান রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে এমআরটি লাইন-২ নির্মাণে সিআরসিসি ১৬ অনুমতি চেয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম শেয়ার বিজকে বলেন, সিআরসিসি ১৬’র প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এখন তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া জিটুজি ভিত্তিতে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার নির্দেশিত কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সুত্র:শেয়ার বিজ


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.