ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুত গতির বুলেট ট্রেন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকাল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
সরকারের চলমান উন্নয়নের অংশ হিসেবে এবার সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। একই সঙ্গে পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় এ খাতকেও ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে।
দেশের অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব থাকায় পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এই খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে রেল মন্ত্রণালয়কে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে ১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও নতুন অর্থবছরে (২০১৯-২০) তা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা করা হয়েছে।
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটের মোট আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা, যার ২৬ দশমিক ১ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এ খাতে।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের বরাদ্দ বেড়েছে ১৫ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। আর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করে এ খাতে ৬৪ হাজার ৮২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ১২ দশমিক ২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন মিলিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে ২৯ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা, সেতু বিভাগে ৮ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ১৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ৩ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এ বরাদ্দ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে ২৩ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা, সেতু বিভাগে ৬ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ১১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৭১ কোটি টাকা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ২ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের অগ্রযাত্রায় যোগাযোগ অবকাঠামো ক্ষেত্রে বিশেষ করে রেলপথকে অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে সরকার।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কার, নতুন সড়ক নির্মাণ, উড়ালসেতু ও আন্ডারপাস নির্মাণ, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ ইত্যাদি জনগুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে সমন্বিত ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে আমরা পদ্মা বহুমুখী সেতু, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অনেকগুলো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।
সুত্র:অধিকার.নিউজ,১৪ জুন ২০১৯