সাব্বির আহমেদ: ২০১৯ সালের এপ্রিলে ঢাকা-রাজশাহী রুটে চালু হয়েছে নতুন ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস। ঠিক এর পরের মাসে চালু হয় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। ঢাকা-বেনাপোল রুটে গত জুলাইয়ে চালু হয়েছে বেনাপোল এক্সপ্রেস। আর অক্টোবরে রংপুর ও লালমনি এক্সপ্রেসে সংযোজন হচ্ছে নতুন কোচ। এই রুটে আরেকটি ট্রেন চালুরও কথা রয়েছে। এভাবেই রেলের পশ্চিমাঞ্চলে একের পর এক নতুন ট্রেন ও কোচ সংযোজন হলেও অবহেলিত থেকে যাচ্ছে পূর্বাঞ্চল।
বাংলাদেশ রেলওয়েকে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল- এই দুইভাগে ভাগ করা হয়। সরকার তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে টানা নতুন ট্রেন ও কোচ যাচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলে। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ওই অঞ্চলের এমপি। সে কারণেই প্রশ্ন উঠেছে- রেলমন্ত্রীর বাড়ির আশেপাশেই নতুন সব ট্রেনের গন্তব্য!ওই অঞ্চল থেকে আসা দাবির প্রতি তিনি দুর্বল- এমন অভিযোগও রয়েছে।
এদিকে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে দীর্ঘদিন ধরে নতুন ট্রেন নেই বললেই চলে। যাত্রীসেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ গেছে খোদ মন্ত্রণালয়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় পূর্বাঞ্চলের ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুট। এই দুই রুটে ট্রেনগুলোর বেহাল দশা। এদিকে ওই অঞ্চলগুলোতে সড়কপথে বেসরকারিভাবে একের পর এক বিলাসবহুল বাস যুক্ত হলেও নতুন ট্রেন চালুর ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় উদাসীন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সূত্র জানায়, ঢাকা-সিলেট রুটে গত তিন বছরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল বাস সংখ্যা বেড়েছে। চালু হয়েছে এনা পরিবহনের হুন্দাই বাস। এছাড়া যুক্ত হয়েছে গ্রিন লাইন ও লন্ডন এক্সপ্রেসের হাইডেক এসি বাস।
সুত্র:সারাবাংলা.নেট