ট্রেনের পরিচালককে (গার্ড) মারধরের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেনকে প্রত্যাহার করে (ক্লোজড) পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। মারধরের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আহত গার্ড মো. মহিউদ্দিন কুমিল্লায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস (১২ ডাউন) ট্রেনটি রবিবার রাত আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। ট্রেনটি কসবার ইমমাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দেয়। এ সময় ট্রেনের গার্ড মো. মহিউদ্দিন টর্চলাইট জ্বালালে সেটি গিয়ে দায়িত্বরত পুলিশের চোখে পড়ে। এ নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত।
মো. মহিউদ্দিন গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, তিনি নিজের জন্য নির্ধারিত বগিতেই ছিলেন। এ সময় ট্রেনের অন্যান্য বগি দেখার জন্য টর্চলাইট জ্বালালে ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসেন পুলিশ সদস্যরা। তাঁরা ট্রেনে উঠেই তাঁকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা টেনেহিঁচড়ে তাঁকে ট্রেন থেকে ফেলে দেন। তখন কিছুু ধরতে গেলে পুলিশ কনস্টেবল সাজেদুলের ব্যাজ ছিঁড়ে তাঁর হাতে রয়ে যায়।
সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) মো. আব্দুল করিম দাবি করেন, টর্চলাইটের আলো পুলিশের চোখে পড়াকে কেন্দ্র করে গার্ডের সঙ্গে বচসা হয়। পরে কিছু সময়ের মধ্যেই গার্ড ট্রেন নিয়ে চলে যান। তিনি জানান, বিষয়টি পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেখভাল করছেন। এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে।
সুত্র:কালের কন্ঠ, ২৯ অক্টোবর, ২০১৯