চলতি রমজান মাসের প্রথম ভাগ শেষ হচ্ছে আগামীকাল। স্বাভাবিকভাবে গ্রামে থাকা আপনজনের সঙ্গে ঘরমুখো মানুষের ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের দিন গণনা শুরু হয়েছে। আর ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহ শেষে বাস ও আগামী সপ্তাহে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এ টিকিট বিক্রি প্রক্রিয়া নিয়ে আগে থেকে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ প্রতিবছরই এতে ব্যাপক অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এছাড়া কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যে বাড়তি অর্থ গুনতে হয় যাত্রীদের। এবার যাতে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে টিকিট কাটতে পারে, সে বিষয়ে আগে থেকেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করি।
গতকালের দৈনিক শেয়ার বিজে ‘১৭ মে বাস ও ২২ মে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু’ শিরোনামে একটি খবর ছাপা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৭ মে থেকে গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের অগ্রিম টিকিট মিলবে। আর ২২ মে থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে চলবে ২৬ মে পর্যন্ত। অবশ্য এবার যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে কমলাপুরের বাইরে আরও পাঁচটি স্থানে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে, যা ইতিবাচক। তবে এক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধ করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে আমরা মনে করি।
প্রতিবছর বাস-ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময় কিছু সমস্যা দেখা যায়। এর মধ্যে বেশি অভিযোগ থাকে টিকিটের মূল্য বেশি রাখা নিয়ে। এছাড়া অনেক টিকিট কালোবাজারির হাতে চলে যাওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। উভয় কারণেই বাড়তি অর্থ গুনতে হয় তাদের। এর বাইরে টিকিট কুক্ষিগত রাখা, প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্যসহ নানা সমস্যা রয়েছে। এগুলো বন্ধ করতে না পারলে তা যাত্রী ভোগান্তির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির কারণ হবে। সে অবস্থা এড়াতে সরকার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেই প্রত্যাশা।
এবার ‘আগে এলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিবছরই এমন কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থা লক্ষ করা যায়। সেক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধে বাস মালিকপক্ষ, টিকিট বিক্রেতা ও সরকার আরও আন্তরিক হবেন বলে আশা করি। এছাড়া ট্রেনের টিকিট বিক্রিতেও ব্যাপক অনিয়মের নজির রয়েছে। এতে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জড়িত থাকার অভিযোগ মেলে, যা কাম্য নয়। এর বাইরে সম্ভাব্য সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে রেলওয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আমাদের আশা।
সুত্র:শেয়ার বিজ, মে ১৫, ২০১৯