চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পে যাত্রী উঠা নামানোর জন্য হবে ৯টি স্টেশন। স্টেশনের নির্মাণ কাজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হয়েছে নির্মাণাধীন কক্সবাজার, চকরিয়া, দোহাজারী, হারবাং স্টেশন। বাকি সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, দুলাহাজরা, ইসলামাবাদ, রামু স্টেশনের কাজ চলমান রয়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে প্রকল্পের কাজের এই অগ্রগতি নজরে আসে। করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই প্রকল্পের কাজ চলছে পুরোদমে।
প্রকল্প এলাকায় দেখা যায়, ৩৯টি মেজর ব্রিজ এবং ১৪৫টি মাইনর ব্রিজ নির্মাণের কাজও অগ্রগতি হয়েছে। মেজর ব্রিজের মধ্যে সবচেয়ে বড় তিনটি ব্রিজ যেমন, দোহাজারীতে শঙ্খ নদীর ওপরে তিন নম্বর বড় ব্রিজ এবং মাতামুহুরী নদীর ওপর চকরিয়ায় ৬৯ এবং ৭৯ নম্বর বড় ব্রিজের দৃশ্যমান হয়েছে। চায়না থেকে গার্ডার আসলে বসানো হবো ব্রিজের ওপরে। বিভিন্ন অংশে বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে আংশিক ব্যালেস্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। বিভিন্ন অংশে পৃথককারী জিওটেক্সটাইল এবং স্যান্ড ব্লানকেট স্থাপন করা হয়েছে। স্লিপার সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় বেজ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
![](https://imaginary.barta24.com/resize?width=700&quality=75&path=uploads/news/2020/Oct/10/1602330693842.jpg)
দোহাজারী-কক্সবাজার অংশে রেল লাইনের জন্য এক হাজার ৩৯১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে রামু হতে মায়ানমারের গুনদুম পর্যন্ত যে রেললাইন নির্মাণ করা হবে তার জন্য ৩৫০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পে রেললাইনে বসানো এলনও শুরু হয়নি। ব্রিজ, স্টেশন, মাটি ভরাট করে রেল লাইন বসানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়ে গেলে ট্র্যাকে বসবে মূল রেল লাইন।
উল্লেখ, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেলপথ প্রথম ধাপে নির্মাণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার সীমান্তের গুনদুম পর্যন্ত আরও ২৮ দশমিক ৭৫ নির্মাণ করা হবে। ফার্স্ট ট্র্যাক এই প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালে শেষ হবার কথা রয়েছে।
সুত্র:বার্তা২৪.কম, ১০ অক্টোবর, ২০২০