।। নিউজ ডেস্ক ।।
চাকার স্প্রিং, অন্যান্য যন্ত্রাংশের নানা সমস্যা নিয়ে পুরনো বগি দিয়ে ঝাঁকি-ঝুঁকিতে চলছে খুলনা থেকে রাজশাহী ও চিলাহাটিগামী ট্রেন। এছাড়া খুলনা অঞ্চলের রেলের বিভিন্ন লাইনেও সমস্যা দীর্ঘদিনের। এতে আতঙ্কে চলাচল করছেন যাত্রীরা; প্রায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এসব বগি ও লাইন আধুনিকায়ন করা না হলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজশাহী ও চিলাহাটীগামী দুটি ট্রেনের কোচ দীর্ঘদিনের। পুরনো হয়ে যাওয়ায় হ্রাস পাচ্ছে এর কার্যক্ষমতা। কোচগুলোর চাকার স্প্রিং, অন্যান্য যন্ত্রাংশে প্রায়ই দেখা দিচ্ছে নানা ত্রুটি। ফলে মাঝেমধ্যেই লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। শুধু কোচ নয়, উত্তরাঞ্চলের রেললাইনগুলোও বহু বছরের পুরনো। পর্যাপ্ত পাথর না থাকা, মাটি সরে যাওয়াসহ নানা কারণে লাইনের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ত্রুটি। এসব কারণে গত এক মাসে খুলনা ও যশোরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত চারবার দুর্ঘটনায় পড়েছে রেল। ফলে ট্রেন দুটিতে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় যাত্রীদের।
রাজশাহী থেকে খুলনা ফেরৎ যাত্রী মাহমুদা বলেন, রাজশাহী এলাকা থেকে তেমন সমস্যা হয় না। তবে যতই খুলনার দিকে ট্রেনটি যেতে থাকে ততই যেন ঝাঁকি বাড়তে থাকে। প্রায় পুরো সময়টা আমরা ভয়ে থাকি, কখন যেন কোন দুর্ঘটনায় পড়ে যাই।
একই ট্রেনে আসা আরেক যাত্রী হুমায়ুন আহেমেদ বলেন, আমি সব সময়ই ট্রেনে চলাচল করি। আমার মনে হয় খুলনা থেকে রাজশাহীগামী সাগরদারী ট্রেনটিই সব থেকে বেশি খারাপ। এই ট্রেনটিতে যেতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। এত ঝাঁকি আর কোনো ট্রেনে নেই। এই ট্রেনের বগি দ্রুত পরিবর্তন করা দরকার।
তবে ট্রেন দুটির কোচ পরিবর্তনে এবং বিভিন্ন স্থানে নতুন লাইন বসানোয় ঊর্ধ্বতন মহলকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান রেলওয়ে খুলনার (ক্যারেজ, ওয়াগন) সিনিয়র সাব অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রেহেনা আক্তার।
তিনি বলেন, আমাদের ট্রেন দুটির কোচ বেশ পুরনো। এজন্য ঝাঁকি হয়, মাঝে মধ্যে ছোট দুর্ঘটনাও ঘটে। আমরা ঊর্ধ্বতন মহলকে বিষয়টি রিপোর্ট করেছি। এটি নিরসনের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরেক সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (ওয়ে), উৎপল মণ্ডল বলেন, আমাদের কিছু স্থানে লাইনের সমস্যা আছে। এরই মধ্যে খুলনা অঞ্চলের ৬ কিলোমিটার রেললাইন নতুন করে স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্থানেও এ লাইন বসানো হবে বলে জানান তিনি।
খুলনা থেকে রাজশাহীগামী সাগরদারি ট্রেনে গড়ে প্রতিদিন এক হাজার ও চিলাহাটিগামী ট্রেনে গড়ে প্রতিদিন ৮০০ যাত্রী যাতায়াত করেন। দুটি রুটেই যাত্রী বাড়লেও ত্রুটির কারণে এসি কোচ বন্ধ রাখা হয়েছে।
সূত্রঃ সময় নিউজ