শিরোনাম

উচ্ছেদের পর রেললাইনের পাশে ফের কাপড়ের দোকান

উচ্ছেদের পর রেললাইনের পাশে ফের কাপড়ের দোকান

মো. আমিরুজ্জামান :

রেলপথ বিভাগ ও রেলওয়ে থানার যৌথ উদ্যোগে উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ করার প্রায় আধাঘণ্টা পরেই সৈয়দপুর শহরের রেললাইনের পাশে আবারও কাপড়ের দোকানগুলো বসে গেছে। এ অবস্থায় যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। গতকাল শুক্রবার ঐ এলাকায় গিয়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসতে দেখা গেছে। নির্দিষ্ট স্থানের বাইরেও জায়গা দখল করে ব্যবসা করতে দেখা গেছে।

গত কয়েক দিন আগে রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পাঁচমাথা মোড় রেলওয়ে ঘুমটি থেকে পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত রেললাইনের দুই ধারে গড়ে ওঠা প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছিল।

সূত্র জানায়, স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে পাঁচমাথা মোড় রেল ঘুমটি পর্যন্ত স্থানে গড়ে ওঠা রেললাইনের দুই পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে এবং নির্ধারিত স্থান ছাড়াও বাড়তি জায়গা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা হয়ে আসায় ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এছাড়া রেললাইনের স্লিপার ও পাথরেরও ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়ে আসছিল। এরপরেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এমদাদুল হক অভিযান শেষে বলেন, রেলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে দ্রুতগতিতে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে রেললাইনে ঝুঁকি এড়াতে রেললাইনের নির্দিষ্ট সীমারেখা পর্যন্ত কেউ যাতে অবৈধ স্থাপনা ও ভ্রাম্যমাণ দোকান না বসাতে পারে তাই এ অভিযান শুরু হয়েছে।

তবে গতকাল শুক্রবার রেললাইন এলাকায় দেখা গেছে, দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা। রেললাইনের ওপর বসেছে শীতকালীন বস্ত্রের দোকান। সেখানে মানুষজনের ব্যাপক উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। ঐ রেললাইনের ওপর দিয়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে তা তাদের খেয়াল নেই।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, রেলের লোক দেখানো অভিযানে কোনো লাভ হয় না। অভিযোগ রয়েছে, শীতবস্ত্রের প্রায় শতাধিক ভ্রাম্যমাণ দোকানমালিকসহ অন্যদের কাছ থেকে উপরি নিয়ে থাকে একটি মহল। ফলে যতই উচ্ছেদ হোক, পরবর্তীতে পুনরায় গড়ে তোলা হয় স্থাপনা। এ অবস্থা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে রেললাইনের দুই ধারে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট অপসারণের দাবি করা হয়।

এ ব্যাপারে শহরের সাহেবপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, রেললাইনের পাশে অবৈধ দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে রেল চলাচল। এটা জনগণ ও দোকানের লোকজন উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। দোকানগুলো দ্রুত অপসারণ জরুরি।

স্থানীয় রেলপথ বিভাগের কর্মকর্তা সুলতান মৃধা জানান, রেললাইনের দুই ধারে বসা ব্যবসায়ীদের কাছে কারা সুবিধা নিচ্ছে তা তার জানা নেই। তিনি বলেন, তবে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আবারও উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

সুত্র:ইত্তেফাক, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.