শিরোনাম

ঢাকা-রৌমারী রেল যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ

প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন

।। রেল নিউজ ।।
কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ বিচ্ছিন্ন রৌমারী উপজেলার সঙ্গে জামালপুর হয়ে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে রৌমারীর দাঁতভাঙা থেকে জামালপুর পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং ডিটেইল ডিজাইন বিষয়ক প্রকল্পের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকালে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার অনুন্নত ও অবহেলিত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি দেন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে দেওয়া ওই চিঠিতে তিনি পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুর থেকে বকশীগঞ্জ হয়ে রৌমারীর দাঁতভাঙা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের প্রস্তাব দেন। রেলমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন উল্লেখ করেন, তার সংসদীয় আসনের রৌমারী, রাজিবপুর ও উলিপুরের কিছু অংশের সাধারণ মানুষের উন্নত যাতায়াতের কোনও ব্যবস্থা নেই। এছাড়া রৌমারী শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে দেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য, ইমিগ্রেশন সুবিধা থাকলেও যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের জন্য উন্নত কোনও ব্যবস্থা না থাকায় শুল্ক স্টেশন থেকে বাংলাদেশ শতভাগ সুবিধা নিতে পারছে না। এ অবস্থায় জামালপুর থেকে রৌমারীর দাঁতভাঙ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপিত হলে রৌমারী, রাজিবপুর এবং উলিপুর (কিছু অংশ) উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ উপকৃত হবে। রৌমারী শুল্ক স্টেশনটির সুবিধা শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত হবে। ওই রেলপথ নির্মাণে চীনের একটি কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন প্রতিমন্ত্রী।

সূত্র আরও জানায়, রৌমারীর সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে প্রকল্প যাচাই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা ব্যয়, প্রকল্পের মেয়াদকাল ইত্যাদি বাস্তবসম্মত করার লক্ষ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘রেলমন্ত্রীর কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। ইতোমধ্যে প্রকল্প যাচাই কমিটির সভাও হয়েছে।’

‘রেল একটি ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই রেললাইন স্থাপিত হলে আমার এলাকার অন্তত তিন লাখ মানুষ উন্নত যোগাযোগ সুবিধা পাবে। পাশাপাশি আমরা যদি ব্রহ্মপুত্র সেতু বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হবে। জেলা শহরের লোকজনও রেলপথে রৌমারী হয়ে চার-পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকা যেতে পারবে’ রেল যোগাযোগ ও সেতুর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন প্রতিমন্ত্রী।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী রেললাইন স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন এবং এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জেনেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্ভাব্যতা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবে।’

সূত্রঃ বাংলাট্রিবিউন


Comments are closed.