শিরোনাম

জাজিরা প্রান্তে পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু

ছবি- সময়নিউজ

।। রেল নিউজ ।।
জাজিরা প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। মধ্য ডিসেম্বরে মাওয়া প্রান্তেও ঢালাই হবে। প্রকল্প ব্যবস্থাপক জানান, চার থেকে ছয় মাসের মধ্যেই সেতুতে রেল ট্র্যাক স্থাপন শেষ হবে। আর জুনেই পদ্মা সেতু দিয়ে চলবে রেল। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৮৭ শতাংশ।

পদ্মা সেতুতে স্থায়ীভাবে বসেছে কংক্রিটের স্লিপার। আর সেতুতে নিখুঁতভাবে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনে এই স্লিপারের সঙ্গেই রড বাঁধাই করে নিখুঁতভাবে লেভেল ঠিক রেখে ঢালাই হচ্ছে। মিক্সিং প্ল্যান্টে কংক্রিট মিশ্রণ বিশেষ গাড়িতে আসে সেতুর নিচে। এরপর বুম পাম্পের মাধ্যমে গ্যাংট্রি ক্রেনের কংক্রিট বাকেট হয়ে সেতুতে আনা হচ্ছে। নির্মাণাধীন রেললাইনের দুই পাশে উঁচু করে স্থাপন করা অস্থায়ী ট্র্যাকে চলাচল করছে গ্যাংট্রি ক্রেন।

সেতুর নিচতলা রেল বিভাগের কাছে হস্তান্তরের সাড়ে ৪ মাস পর সব চ্যালেঞ্জ ছাপিয়ে সেতুতে পুরো দমে চলছে রেলের কাজ। আর তাপমাত্রার কারণেই ঢালাই হচ্ছে রাতে।

পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চালু করতে সেতু ছাড়াও দুই পারের রেলপথে চলছে কাজ। পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ জানান, ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত রেল লাইনে গত পয়লা নভেম্বর পরীক্ষামূলক ‘ট্র্যাক কার’ চালানো হয়। এটি সফল হওয়ায় এখন এ রেল লাইনের পরবর্তী ধাপের কাজ চলছে। এদিকে রেল স্টেশনগুলোর নির্মাণও শেষ পর্যায়ে। সেতুতে নিখুঁতভাবে রেল লাইন স্থাপনে ব্যবহার করা হচ্ছে নানা রকম যন্ত্রপাতি।

রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেল লিংক প্রকল্প শেষ হবে ২০২৪ সালে। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচলের টার্গেট রয়েছে আগামী জুনে। তাই মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ। মাওয়া রেল স্টেশনের অগ্রগতি ৮৫ দশমিক ৬০ শতাংশ ও জাজিরা প্রান্তের পদ্মা রেল স্টেশনের অগ্রগতি ৭৭ দশমিক ৭০ ভাগ। পদ্মা সেতুর দুই পারে পাথরসহ রেললাইন বসানোর কাজ শেষ। রেল লাইনের বিভিন্ন পয়েন্টে ওয়েল্ডিংসহ খুঁটিনাটি কাজ চলছে পুরোদমে। পাথরসহ রেল লাইনেও নানা সতর্কতা। ধুয়ে এবং ডাস্ট ফ্রি করে দেশের মধ্যপাড়ার এবং দুবাইয়ের পাথরে তৈরি হচ্ছে এ রেলপথ।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক জানান, ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটারের মধ্যে ২৯ কিলোমিটারে পাথরসহ রেললাইন। আর পাথরবিহীন রেললাইন ১৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে দুই পারের ভায়াডাক্টে ৬ কিলোমিটারেরও বেশি রেল ট্র্যাক বসেছে। মাওয়া অংশে ৬০০ মিটারেরও কংক্রিটের প্রস্তুতি চলছে। আর মূল পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন ৬ দশমিক ৬৬৮ কিলোমিটারে পুরো দমে এখন রেল লাইন বসছে।


Comments are closed.