শিরোনাম

আওয়ামীলীগ ছাড়া রেলের উন্নয়নে কেউ উদ্যোগ নেয়নি: রেলমন্ত্রী


।। রেল নিউজ ।।
আওয়ামী লীগের আমল ছাড়া, ১৯১৪ থেকে শুরু করে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ে অন্য সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে রেলের উন্নয়নে ‘কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি’ বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে রেলমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম তার প্রশ্নে জানতে চান, লাখ কোটি টাকা খরচ করার পরও রেলে লোকসানের রেকর্ড, এর কারণ কী? লোকসান কমাতে সরকার কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি না।

জবাবে রেলপথমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার প্রয়োজনে ভারতীয় উপমহাদেশে রেলওয়ের গোড়াপত্তন করে। ১৯১৪-১৯১৮ পর্যন্ত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন তারা বুঝতে পারে- নিজেদের সাম্রাজ্যবাদের পতন হতে চলছে, তখন থেকেই তারা রেল যোগাযোগের ওপর বিনিয়োগ এক প্রকার বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তান শাসনামলেও রেলওয়ের কোনো উন্নয়ন হয়নি।

“১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুর্নগঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের পরের সরকারগুলো রেলপথের উন্নয়নে কোনো ভূমিকা নেয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনার দুরদর্শিতা ও একক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর রেল সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৫ সালে বিএনপির শাসনামলে রেলওয়ের অগ্রযাত্রা আবারও ব্যাহত হয় “

সুজনের দাবি, ১৯১৪ থেকে শুরু করে ২০০৯ পর্যন্ত সুদীর্ঘ সময়কালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়কাল এবং শেখ হাসিনার আমল ছাড়া অন্য সরকারগুলোর সময়ে বাংলাদেশের রেলপথের উন্নয়নে ভূমিকা নেয়নি। বরং ‘শোষণ ও বঞ্চনা’ করে এই খাত ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

“২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পরে রেলপথের উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ শুরু হয়। যার ফল রেলওয়ে পেতে শুরু করেছে। পরিপূর্ণ ফলাফল পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।”

বর্তমানে যে উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে তা শেষ হলে রেলওয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে জানান তিনি।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর অনুপস্থিতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, বাংলাদেশে বছরে বস্ত্রের চাহিদা ৭ হাজার মিলিয়ন মিটার। শতভাগ বস্ত্র দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে।

তবে রপ্তানি ও অধিক মূল্য সংযোজিত পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে বস্ত্র আমদানি করা হয়। মূলত চীন, ভারত ও পাকিস্তান থেকে বস্ত্র আমদানি করা হয়।

সূত্রঃ বিডিনিউজ


Comments are closed.