শিরোনাম

লোকসান

লোকসান আর ঝুঁকি নিয়েই চলছে ট্রেন, সেবা নিয়েও অসন্তুষ্টি যাত্রীদের

।। নিউজ ডেস্ক ।। গত ১০ বছরে রেলের উন্নয়নের ব্যায় প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা। আকাশছোঁয়া বিনিয়োগের পরও প্রতিষ্ঠানের লোকসান প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচের পরও ট্রেনের গতি তো বাড়েইনি, উল্টো…


ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে গরু ছাগল তুলেও এড়ানো যাচ্ছে না লোকসান

।। নিউজ ডেস্ক ।। আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর জন্য চালু করা হয় ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল’ ট্রেন। কিন্তু কিন্তু চাষি ও ব্যবসায়ীদের এই ট্রেনের প্রতি আগ্রহ কম থাকায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। লোকসান…


১০ বছরে রেলের লোকসান ১৩ হাজার কোটি টাকা

ইসমাইল আলী: রেলের উন্নয়নকে বরাবরই গুরুত্ব দিচ্ছে বর্তমান সরকার। এজন্য দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১১ সালের ডিসেম্বরে গঠন করা হয় পৃথক রেলপথ মন্ত্রণালয়। বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, নতুন ট্রেন চালুসহ সারাদেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে নেয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা।…


২০১৯-২০ অর্থবছরে রেলওয়ের আয় কমেছে ৩৯০ কোটি টাকা

ইসমাইল আলী: দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। তবে কভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন ছিল সাধারণ ছুটি। এর দুদিন আগে ২৪ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় যাত্রীবাহী ট্রেন…


শুধু এপ্রিল মাসেই ১৭০ কোটি টাকার আয় থেকে বঞ্চিত রেলওয়ে

শামীম রাহমান : স্বাভাবিক সময়েই লোকসানে চলছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। দুর্নীতি, পরিচালনায় অদক্ষতা আর ভুল পরিকল্পনায় বছরে হাজার কোটি টাকার ওপর লোকসান হয় সংস্থাটির। চলমান নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত এ পরিবহন সংস্থার লোকসানের পাল্লা আরো ভারী করে তুলেছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় শুধু চলতি এপ্রিলেই ১৭০ কোটি টাকা লোকসান হতে যাচ্ছে রেলওয়ের। নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে দেশে। তখন থেকেই বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। সাধারণ ছুটি চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। সে হিসেবে এক মাস যাত্রী পরিবহন থেকে কোনো আয় হচ্ছে না রেলের। বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের এপ্রিলে ট্রেন পরিচালনা বাবদ আয় হয়েছিল ১৬৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকাএর মধ্যে যাত্রী পরিবহন করে আয় হয়েছিল ৮৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা মালামাল ও পার্সেল পরিবহন করে আয় হয়েছিল আরো ৪১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। বাকি প্রায় ৪২ কোটি টাকা আয় হয়েছিল বিবিধ খাতে। রেলওয়ের পরিচালন শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, এপ্রিলজুড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী, মালামাল, পার্সেলসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা আয়বঞ্চিত হচ্ছে রেলওয়ে। বছর শেষে এটি রেলওয়ের মোট আয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে, যা রেলের লোকসানের পরিমাণকে আরো বাড়িবে দেবে বলে মনে করছেন তারা। রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে চলতি অর্থবছর আট কোটি যাত্রী পরিবহনের পরিকল্পনা করেছিল রেলওয়ে। পাশাপাশি মালামাল পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩২ লাখ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে (এপিএ) যাত্রী, মালামালসহ রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১০ শতাংশ। চলতি অর্থবছর যাত্রী পরিবহন বাবদ রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ। একইভাবে মালামাল পরিবহনে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ অর্থবছরে একাধিক নতুন ট্রেন চালু ও নতুন কোচ সংযোজনের কারণে রাজস্ব আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধির আশায় ছিলেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আয় হবে না রেলওয়ের। রাজস্ব আয় না হলেও কলেবর বেড়ে যাওয়ায় পরিচালন ব্যয় তুলনামূলক বেশি হবে। ফলে অর্থবছর শেষে রাজস্ব আয় ও পরিচালন ব্যয়ে বড় ধরনের পার্থক্য তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন তারা। দীর্ঘদিনের অবহেলিত রেলের উন্নয়নে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেয়। লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন ও যাত্রীসেবার মান বাড়িয়ে রেলকে লাভজনক করে তোলা। ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৭-১৮ সময়ে ১৪ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকার ৬৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে রেলওয়ে। চলমান রয়েছে আরো ৪৮টি প্রকল্প, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়নে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ সত্ত্বেও গত ১০ বছরে রেলওয়ের লোকসানের পাল্লা কেবল ভারীই হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে রেলওয়ের লোকসান হয়েছিল ৬৯০ কোটি টাকাপরের অর্থবছর তা বেড়ে ৮৬২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়একইভাবে ২০১১-১২ অর্থবছর ৯৬৩ কোটি, ২০১২-১৩ অর্থবছর ৭৫৮ কোটি, ২০১৩-১৪ অর্থবছর ৮০১ কোটি, ২০১৪-১৫ অর্থবছর ৮৭২ কোটি, ২০১৫-১৬ অর্থবছর ১ হাজার ৩২৫ কোটি, ২০১৬-১৭ অর্থবছর ১ হাজার ৫৩১ কোটি ও ২০১৭-১৮ অর্থবছর ১ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা লোকসান করে রেলগত অর্থবছর (২০১৮-১৯) সংস্থাটির লোকসানের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এক মাস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখায় এরই মধ্যে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে রেলপরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে যদি দীর্ঘ সময় লাগে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আরো বড় হবে ক্ষতির পরিমাণ, যা অর্থবছর শেষে রেলের লোকসানের পাল্লাকে আরো ভারী করবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বণিক বার্তাকে বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের বিরূপ প্রভাব কম-বেশি দেশের সব সেক্টরেই পড়তে যাচ্ছে। প্রায় এক মাস হতে চলল আমাদের ট্রেন চলছে নাট্রেন পরিচালনা বাবদ এই এক মাস কিন্তু রেলওয়ের কোনো আয় নেই। ক্ষতি তো হচ্ছেই ।তবে এ অবস্থায় ক্ষতিটা যেন কম হয়, সে পরিকল্পনা আমরা করছি। পণ্য পরিবহন বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে। শিগগিরই পণ্য পরিবহনের জন্য চারটি বিশেষায়িত ট্রেন চালু করা হবে। সুত্র:বণিক বার্তা, এপ্রিল ২২, ২০২০


বিপুল বিনিয়োগ, তবুও লোকসানের রেকর্ড

রাজীব আহাম্মদ : লোকসানে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে রেল। গত ১০ বছরে প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি লাভ দূরে থাক, পরিচালন ব্যয়ই তুলতে পারছে না। রেলওয়ের হিসাব শাখার তথ্য অনুযায়ী, গত…


রেলের উন্নয়নে খরচ ৩৮ হাজার কোটি টাকা, তবুও লোকসান!

নাজমুস সালেহী: গত ১০ বছরে বাংলাদেশ রেলওয়ে উন্নয়নের জন্য খরচ করেছে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। অথচ গত অর্থ বছরেরই সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের লোকসানের পরিমাণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে পৌঁছেছে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকায়। বিপুল…


ট্রেন লিজ দিয়ে অস্বস্তিতে রেলওয়ে : ব্যবস্থাপনা উন্নত হলে লাভজনক করা সম্ভব

সরকারের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও অদক্ষতা আর অব্যবস্থাপনার কারণে রাষ্ট্রকে রেলওয়ে খাতে বিপুল লোকসান দিতে হয় প্রতি বছর। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সরকারি খাতে যে ট্রেন লোকসান গুনছে বা আয় করছে কম, সেই একই ট্রেন যখন…


বিনিয়োগ বাড়ছে, লোকসানও বাড়ছে

বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। বিপুল এ বিনিয়োগের পরও লোকসানের বৃত্ত থেকে বেরোতে পারছে না সংস্থাটি। উল্টো লোকসানের পাল্লা ক্রমে…