শিরোনাম

করোনাভাইরাস

তিন মাসে ভারত থেকে রেলপথে এসেছে এক লাখ টন চাল

নিউজ ডেস্ক: অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের জন্য ভারত থেকে কয়েক লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। আমদানি করা এসব চালের একটা বড় অংশ আসছে রেলপথে। বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ১ লাখ ৩৪৩ টন চাল রেলপথে এসেছে। একই সময়ে ভারত থেকে আমদানি করা ২ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৬ গম এসেছে রেলপথে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাঁচটি ট্রেনে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনা হয় ১১ হাজার ৬৭৮ টন চাল। ফেব্রুয়ারিতে ১০টি ট্রেনে আসে ২০ হাজার ৯৫০ টন চাল। আর মার্চে ২৮টি ট্রেনে আসে ৬৭ হাজার ৭১৫ টন। এর বাইরে চলতি মাসের প্রথম ১০ দিন আটটি ট্রেনে এসেছে আরো ১৮ হাজার ৫ টন চাল। চালের পাশাপাশি একই সময়ে ভারত থেকে আমদানি করা ২ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৬ টন গম পরিবহন করা হয়েছে রেলপথে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ২৬টি ট্রেনে ৬৩ হাজার ৩৮ টন, ফেব্রুয়ারিতে ৪০টি ট্রেনে ১ লাখ ৩২০ টন, মার্চে ৩২টি ট্রেনে ৭৩ হাজার ৬১৫ টন ও ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪টি ট্রেনে আনা হয়েছে ৩০ হাজার ৪৭৩ টন গম। রেলপথে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য এখন পর্যন্ত একপক্ষীয়। বাংলাদেশ কেবল রেলপথ ব্যবহার করে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে পারে, রফতানি করতে পারে না। চাল ও গম ছাড়াও রেলপথের মাধ্যমে পাথর, ভুট্টা, ভোজ্যতেল, ফ্লাই অ্যাশ, পার্সেল, কনটেইনার, মোটরযান, ডিজেল, পেঁয়াজ, রসুন, শিল্পের কাঁচামালসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি করে বাংলাদেশ। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে প্রতি মাসে ১০০টিরও বেশি পণ্যবাহী ট্রেন ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে। গত জানুয়ারিতে ১৩২টি ট্রেনে আসে তিন লাখ টনের বেশি পণ্য। ফেব্রুয়ারিতে ১১১টি ট্রেনে আসে ২ লাখ ৬২ হাজার ৫৩৬ টন পণ্য। আর মার্চে ১৪০টি ট্রেনে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার টন পণ্য আনা হয়। রেলপথে ভারত থেকে আমদানি পণ্য পরিবহনের এ ধারা চলতি মাসেও অব্যাহত রয়েছে। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ৫৫টি ট্রেনে ১ লাখ ২০ হাজার ৭৭৭ টন পণ্য এসেছে বাংলাদেশে। এ প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে প্রত্যেক মাসে গড়ে ১৩০টির বেশি ট্রেন চলাচল করছে। এসব ট্রেনগুলোয় ব্যাপকভাবে চাল ও গম পরিবহন করা হচ্ছে। চারটি সীমান্ত দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেনগুলো চলাচল করছে। চলমান করোনা মহামারীর মধ্যে যেন বাজারে নিত্যপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ঘাটতি তৈরি না হয়, সেজন্য আমরা ভারত থেকে রেলপথে পণ্য পরিবহন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শুধু চলমান করোনা পরিস্থিতি নয়, সার্বিকভাবে ভারতের সঙ্গে রেলপথে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত ২২ মার্চ বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দুই দেশের মধ্যে রেলপথে যাত্রী পরিবহন এখনো বন্ধ। তবে রেলে পণ্য পরিবহন কার্যক্রমও ওই সময় বন্ধ হলেও গত বছরের ৯ মে থেকে তা পুনরায় চালু হয়েছে। প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর ৯ মে ভারত থেকে পেঁয়াজবাহী একটি ট্রেন গেদে-দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর গত ২৬ জুলাই প্রথমবারের মতো রেলপথে ভারত থেকে ৫০টি কনটেইনারে সাবান, শ্যাম্পু, টেক্সটাইল ফ্যাব্রিকসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়। কনটেইনার ট্রেনটি ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। গত বছরের জুনে প্রথমবারের মতো ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। সূত্র:বণিক বার্তা, এপ্রিল ১৬, ২০২১


বিশেষ ট্রেন, জমেছে আমের বাজার

সজীব আহমেদ: করোনাভাইরাস মহামারিতে জ্যৈষ্ঠের মিষ্টিমধুর আম সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব হবে, নাকি গাছেই পচবে—এমন শঙ্কায় ছিলেন আম চাষিরা। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে আম রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়াটাও ছিল তাঁদের শঙ্কার আরেক কারণ।…


লাকসাম থেকে চলবে উপকূল এক্সপ্রেস

।।নিউজ ডেস্ক।। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নোয়াখালীর দু’টি উপজেলাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউনের কারণে ঢাকা-নোয়াখালী রেল রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রায় এসেছে পরিবর্তন। মঙ্গলবার (৯ জুন) থেকে লকডাউন কার্যকর…


ট্রেন ভ্রমণে কঠোরতা

সাইদুল ইসলাম: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে কয়েকদিন ধরেই। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার দিক চিন্তা করেই অর্ধেক টিকিট বিক্রয় করছে রেল প্রশাসন। এ সময়ে সারা দেশে ট্রেন…


স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে লাগেজ ভ্যান মেরামত

নিউজ ডেস্ক: সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় প্রথমবারের মতো মেরামত করা হচ্ছে একটি লাগেজ ভ্যান। করোনার কারণে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ৪ মে কারখানাটির জেনারেল ওভারহলিং শপ (জিওএইচ) চালু করা হয়। এখানে ইতিমধ্যে সাতটি মালবাহী ওয়াগন…


ট্রেন চালুর প্রস্তুতি শুরু

নিউজ ডেস্ক:করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে লকডাউনের শুরুতেই রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে পোশাক কারখানা চালুসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতার পথে হাঁটাছে সরকার। এ অবস্থায় রেল যোগাযোগ চালু করার বিষয়েও তৎপরতা শুরু হয়েছে।ভাবনাটা…


মালবাহী ট্রেন (সংগৃহীত)

ভারতের সঙ্গে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২৬ মার্চ থেকে মালবাহী টেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক মাস বন্ধ থাকার পর আবারো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি…


ঝুঁকি নিয়ে কর্মরত কর্মীদের তালিকা হচ্ছে

সুজিত সাহা : দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। রেলপথে যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকলেও খাদ্যপণ্য, আমদানি-রফতানির কনটেইনার ও জ্বালানি পরিবহনের স্বার্থে খোলা রয়েছে অপারেশনাল সব ধরনের কার্যক্রম। যানবাহন সুবিধা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে এসব বিভাগের কর্মীদের। দেশের দুর্যোগপূর্ণ এ পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে কর্মরত রেলকর্মীদের প্রণোদনা ও ঝুঁকি ভাতা প্রদানে তালিকা তৈরি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রেলের দুই অঞ্চলের সব বিভাগ থেকে তালিকা নিয়ে শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে রেল কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় তালিকা চেয়ে কন্ট্রোল অর্ডার পাঠিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে রেলওয়ের পরিবহন, বাণিজ্যিক, প্রকৌশল ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এ নিয়ে বিভাগওয়ারি তালিকা এরই মধ্যে দুটি বিভাগের প্রধান সংস্থাপন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে। সংস্থাপন বিভাগ থেকে তালিকাটি রেলওয়ে মহাপরিচালকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। তবে রেলের সংশ্লিষ্ট কিছু অফিসের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তালিকা তৈরি করতে বেগ পেতে হচ্ছে। এতে তালিকা তৈরি করে পাঠানোর কাজ বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বণিক বার্তাকে বলেন, সরকারি ছুটির কারণে অফিস বন্ধ রয়েছে। তবে খাদ্যপণ্য পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ট্রেনগুলো পরিচালনায় নিযুক্ত কর্মীরা দিন-রাত কাজ করে এ পরিস্থিতিতেও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। মন্ত্রণালয় থেকে ঝুঁকি নিয়ে কর্মরত কর্মীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সব বিভাগ থেকে তালিকা এখনো হাতে এসে পৌঁছেনি। তবে পশ্চিমাঞ্চল রেলে প্রায় এক হাজার কর্মীর তালিকা তৈরি হতে পারে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের দপ্তর থেকে সম্প্রতি একটি কন্ট্রোল অর্ডার দেয়া হয় পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপককে (ডিআরএম)। ওই আদেশে বলা হয়, চলমান নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালে যেসব রেলকর্মী মাঠ পর্যায়ের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাদের নামের তালিকা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধান সংস্থাপন কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে কাজে যুক্ত থাকা অবস্থায় কোনো রেলকর্মী কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলে বা রোগটির উপসর্গ দেখা দিলে অথবা অন্য যেকোনো রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে রেলের সংশ্লিষ্ট দপ্তর মারফত উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করতে হবে। ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকেই সারা দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু নিত্যপণ্যসামগ্রীর সরবরাহ নিশ্চিত করতে মালবাহী ট্রেনের চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। ট্রেনের সংখ্যা ৯৫ শতাংশ কমলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দেশের প্রায় সব স্টেশনই খোলা রাখতে হচ্ছে। প্রকৌশলগত পরিবহন মাধ্যম হওয়ার পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ রেলপথ ও স্টেশনের কার্যক্রম ডিজিটাল না হওয়ায় পরিবহন বিভাগের বিভিন্ন কর্মীকে কর্মস্থলে শতভাগ উপস্থিত থাকতে হচ্ছে। কিন্তু স্টেশন বা কর্মস্থল এলাকা থেকে দূরে থাকার কারণে তাদের অনেককে প্রতিদিনই হেঁটে কাজে যেতে হচ্ছে। রেলের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি), স্টেশন মাস্টার, ওয়েম্যান, পয়েন্টসম্যানসহ কয়েক হাজার কর্মী বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন। কভিড-১৯-এর প্রকোপ বাড়ার পর এসব কর্মীর মধ্যে সীমিত আকারে নিরাপত্তা সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে, যা ছিল খুবই অপ্রতুল। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় তাদের অনেককেই স্টেশনে যেতে হয় হেঁটে। অনেকে প্রান্তিক স্টেশনের কর্মীদের এমনকি ৮-১০ কিলোমিটার পথও হেঁটে অফিস করতে যাচ্ছেন। নিম্নপর্যায়ের এসব কর্মীর জন্য এতটা দূরত্বের পথ পাড়ি দিয়ে কাজ করা বেশ কষ্টকর। চলমান দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে এসব কর্মীর জন্য রেলের পক্ষ থেকে যানবাহন সুবিধা দেয়ার দাবি তুলেছে রেলসংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংগঠন। রেলওয়ের পরিবহন ও বাণিজ্যিক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রেন চলাচল বন্ধের মধ্যেও ঝুঁকিতে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি), ইয়ার্ড মাস্টার, লোকো মাস্টার, খালাসি, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, মেইনলাইনের বিভিন্ন স্টেশন ম্যানেজার, স্টেশন মাস্টার, গার্ড, ওয়েম্যান, টালি ক্লার্ক, ফিলম্যান, পোর্টার, স্টেশন পেশকার, হেড বুকিং ক্লার্ক, পয়েন্টসম্যান, টিএনএল, টিএক্সআর, ডিএসটিই, সান্টিং জমাদার, সান্টিং পোর্টার, লোকো মাস্টারসহ অনেকেই। রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত এ ধরনের কর্মীর সংখ্যা কয়েক হাজার। যাতায়াতের পাশাপাশি আরো নানা সংকটের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তারা। এসব কর্মী নির্ধারিত স্টেশনে কাজ করলেও সেখানে খাবারের সুবিধা না থাকায় কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। রেলওয়েসংশ্লিষ্টরা জানান, সারা দেশের রেলপথগুলো শতভাগ কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলকিং (সিবিএ) পদ্ধতিতে আসেনি। ফলে একটি ট্রেন চলাচল করলেও সংশ্লিষ্ট রেলপথের সব স্টেশন খোলা রাখতে হয়। কাজে যুক্ত থাকতে হয় পয়েন্টসম্যান, স্টেশন মাস্টারসহ একাধিক কর্মীকে। তাছাড়া আসন্ন রোজার ঈদের আগে রেলের পুরনো ইঞ্জিন, কোচ মেরামতকাজ চলমান রয়েছে। নিয়মিত তদারকির জন্য স্টেশন খোলা রাখা এবং সরকারি সম্পদ রক্ষার স্বার্থে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত কাজে যুক্ত রয়েছেন। ঝুঁকি নিয়ে কর্মরত এ কর্মীদের প্রণোদনা দিতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দাবি জানাবে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বণিক বার্তাকে বলেন, চিকিৎসা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মীরা ছাড়াও নির্দিষ্টসংখ্যক রেলকর্মী দেশের এ ক্রান্তিকালে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। খাদ্যশস্য, জরুরি আমদানি-রফতানি পণ্য, জ্বালানি পরিবহনের কাজে নিযুক্ত এসব কর্মী নভেল করোনাভাইরাসের ঝুঁকি সত্ত্বেও দেশের জন্য কাজ করছেন। সরকারিভাবে যাতে তাদের মূল্যায়ন করা হয়, সে বিষয়ে আমরা মাঠ পর্যায় থেকে তালিকা চেয়েছি। তালিকা হাতে পেলে রেলকর্মীদের প্রণোদনার বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।  সুত্র:বণিক বার্তা, এপ্রিল ২৩, ২০২০


শুধু এপ্রিল মাসেই ১৭০ কোটি টাকার আয় থেকে বঞ্চিত রেলওয়ে

শামীম রাহমান : স্বাভাবিক সময়েই লোকসানে চলছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। দুর্নীতি, পরিচালনায় অদক্ষতা আর ভুল পরিকল্পনায় বছরে হাজার কোটি টাকার ওপর লোকসান হয় সংস্থাটির। চলমান নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত এ পরিবহন সংস্থার লোকসানের পাল্লা আরো ভারী করে তুলেছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় শুধু চলতি এপ্রিলেই ১৭০ কোটি টাকা লোকসান হতে যাচ্ছে রেলওয়ের। নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে দেশে। তখন থেকেই বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। সাধারণ ছুটি চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। সে হিসেবে এক মাস যাত্রী পরিবহন থেকে কোনো আয় হচ্ছে না রেলের। বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের এপ্রিলে ট্রেন পরিচালনা বাবদ আয় হয়েছিল ১৬৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকাএর মধ্যে যাত্রী পরিবহন করে আয় হয়েছিল ৮৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা মালামাল ও পার্সেল পরিবহন করে আয় হয়েছিল আরো ৪১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। বাকি প্রায় ৪২ কোটি টাকা আয় হয়েছিল বিবিধ খাতে। রেলওয়ের পরিচালন শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, এপ্রিলজুড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী, মালামাল, পার্সেলসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা আয়বঞ্চিত হচ্ছে রেলওয়ে। বছর শেষে এটি রেলওয়ের মোট আয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে, যা রেলের লোকসানের পরিমাণকে আরো বাড়িবে দেবে বলে মনে করছেন তারা। রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে চলতি অর্থবছর আট কোটি যাত্রী পরিবহনের পরিকল্পনা করেছিল রেলওয়ে। পাশাপাশি মালামাল পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩২ লাখ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে (এপিএ) যাত্রী, মালামালসহ রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১০ শতাংশ। চলতি অর্থবছর যাত্রী পরিবহন বাবদ রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ। একইভাবে মালামাল পরিবহনে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ অর্থবছরে একাধিক নতুন ট্রেন চালু ও নতুন কোচ সংযোজনের কারণে রাজস্ব আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধির আশায় ছিলেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আয় হবে না রেলওয়ের। রাজস্ব আয় না হলেও কলেবর বেড়ে যাওয়ায় পরিচালন ব্যয় তুলনামূলক বেশি হবে। ফলে অর্থবছর শেষে রাজস্ব আয় ও পরিচালন ব্যয়ে বড় ধরনের পার্থক্য তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন তারা। দীর্ঘদিনের অবহেলিত রেলের উন্নয়নে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেয়। লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন ও যাত্রীসেবার মান বাড়িয়ে রেলকে লাভজনক করে তোলা। ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৭-১৮ সময়ে ১৪ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকার ৬৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে রেলওয়ে। চলমান রয়েছে আরো ৪৮টি প্রকল্প, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়নে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ সত্ত্বেও গত ১০ বছরে রেলওয়ের লোকসানের পাল্লা কেবল ভারীই হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে রেলওয়ের লোকসান হয়েছিল ৬৯০ কোটি টাকাপরের অর্থবছর তা বেড়ে ৮৬২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়একইভাবে ২০১১-১২ অর্থবছর ৯৬৩ কোটি, ২০১২-১৩ অর্থবছর ৭৫৮ কোটি, ২০১৩-১৪ অর্থবছর ৮০১ কোটি, ২০১৪-১৫ অর্থবছর ৮৭২ কোটি, ২০১৫-১৬ অর্থবছর ১ হাজার ৩২৫ কোটি, ২০১৬-১৭ অর্থবছর ১ হাজার ৫৩১ কোটি ও ২০১৭-১৮ অর্থবছর ১ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা লোকসান করে রেলগত অর্থবছর (২০১৮-১৯) সংস্থাটির লোকসানের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এক মাস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখায় এরই মধ্যে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে রেলপরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে যদি দীর্ঘ সময় লাগে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আরো বড় হবে ক্ষতির পরিমাণ, যা অর্থবছর শেষে রেলের লোকসানের পাল্লাকে আরো ভারী করবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বণিক বার্তাকে বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের বিরূপ প্রভাব কম-বেশি দেশের সব সেক্টরেই পড়তে যাচ্ছে। প্রায় এক মাস হতে চলল আমাদের ট্রেন চলছে নাট্রেন পরিচালনা বাবদ এই এক মাস কিন্তু রেলওয়ের কোনো আয় নেই। ক্ষতি তো হচ্ছেই ।তবে এ অবস্থায় ক্ষতিটা যেন কম হয়, সে পরিকল্পনা আমরা করছি। পণ্য পরিবহন বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে। শিগগিরই পণ্য পরিবহনের জন্য চারটি বিশেষায়িত ট্রেন চালু করা হবে। সুত্র:বণিক বার্তা, এপ্রিল ২২, ২০২০


ট্রেন বন্ধ, মালগাড়িতে যাত্রী পরিবহন

নিউজ ডেস্ক:পার্বতীপুরসহ সারা দেশে যাত্রীবাহী আন্ত নগর, মেইল, লোকাল ও ডেমু ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে কর্তৃপক্ষ গত ২৬ মার্চ থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে। তবে খাদ্য ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চালু রয়েছে। এক…