রেলক্রসিং নয় যেন মৃত্যুকূপযাযাদি রিপোর্ট রাজধানীর কুড়িল বিশ্ব রোডের রেললাইন ঘেঁষে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শরবতের দোকান -যাযাদিরাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে উড়াল সেতু নির্মিত হওয়ার পর থেকে রেললাইন অবাধে পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। কিন্তু রেললাইনের ওপর দিয়ে যান চলাচল না থাকায় নেই কোনো সিগনাল।ঘড়ির কাঁটায় বিকাল ৪টা। সরেজমিনে গত রোববার রাজধানীর কুড়িল বিশ্ব রোডের রেললাইনে গিয়ে দেখা যায়, কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেন এ ক্রসিং অতিক্রম করে। উড়াল সেতু হওয়ার পর থেকে রেললাইনের ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় এই ক্রসিংয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় কোনো ধরনের সিগন্যাল দেয়া হয় না। এর ফলে প্রায় ঘটে ট্রেন দুর্ঘটনা।সরেজমিনে আরও দেখা যায়, রেললাইন ঘেঁষে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০টির মতো অস্থায়ী দোকান। চলছে চা বিক্রি থেকে শুরু করে কাপড়, জুতা, শরবত, কাবাব বিক্রিসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা। এ ছাড়া ক্রসিংয়ের পাশে হকাররা মাইক বাজিয়ে বিক্রি করছেন নানা ধরনের ওষুধ। আর ট্রেন এলেও মাইকের শব্দে ট্রেন আসার শব্দ পাচ্ছেন না পথচারীরা। যার ফলে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এ ছাড়াও অবৈধ দোকানের কারণে রেললাইন পারাপারে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পথচারীদের।রেলক্রসিংয়ের পাশে চায়ের দোকানে কথা হয় মনির নামে একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই ক্রসিং পার হয়ে যেতে হয় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বাড্ডা, রামপুরাসহ পূর্ব প্রান্তের বিভিন্ন জায়গায়। যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর থেকে ট্রেন এলে কোনো সিগন্য?াল থাকে না। ফলে প্রায়ই মানুষ ট্রেনে কাটা পড়ে। গত সপ্তাহেও একজন ট্রেনে কাটা পড়েছেন।রেললাইন পার হচ্ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়া ইসলাম। তিনি বলেন, এই রেললাইনে ট্রেন এলে কেউ বুঝতে পারে না। কারণ এখানে কোনো সিগন্যাল নেই। এখানে একটি সিগন্যালের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এভাবে রেললাইন পারাপারে অনেক ঝুঁকি রয়েছে। রেললাইনের পাশে প্রচ- শব্দ থাকায় ট্রেন এলেও বোঝা যায় না।ক্রসিংয়ের বিষয়ে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, কুড়িলে ওই রেলক্রসিংয়ে ?পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। হকারদের উচ্ছেদ করলে আবারও বসে পড়ে। অনেক সময় মানবিক কারণে তারা কিছু বলেন না।রেলপথে দুর্ঘটনা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ট্রেনে কোনো পথচারী কাটা পড়লে এর দায়িত্ব প্রশাসন নেবে না। কারণ ওই ক্রসিংয়ে পারাপার নিষেধ।রেলক্রসিং পরাপারের বিষয়ে রেলের বিভাগীয় প্রকৌশলী (১) মহিউদ্দিন বলেন, কুড়িলে উড়াল সেতু হওয়ার পর থেকে ওই ক্রসিংয়ে পারাপার নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি উঁচু দেওয়ালও দেয়া হয়েছে। এখানে পারাপার সম্পূর্ণ নিষেধ। কেউ দুর্ঘটনার শিকার হলে দায় প্রশাসন নেবে না।
সুত্র:যায়যায়দিন,২.৭.২০১৭ |
Related posts:
জুরাইনে রেলের জায়গা দখল করে ৫শ’ অবৈধ দোকান
গোমতী নদীর রেলওয়ে ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ!
খুলনা-মোংলা রেলপথসহ তিন প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ২৩১ শতাংশ
চিলাহাটি-হলিদাবাড়ী রেলপথ নির্মাণব্যয় বাড়ছে ৭৫%
মেয়াদের মধ্যে শেষ হচ্ছে না নির্মাণকাজ
২৫ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব রেলওয়ের
রেলের শীর্ষস্থানীয়দের দুর্নীতি
রেলের সরঞ্জাম বিভাগে জনবল কমাতে তৎপর সিন্ডিকেট
Be the first to comment on "রেলক্রসিং নয় যেন মৃত্যুকূপ"