গাজীপুর জেলা শহরে ফুটপাত দখল করে এবং জয়দেবপুর রেলগেইট সংলগ্ন রেললাইনের উপর প্রতিদিন অবৈধভাবে দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ভাসমান দোকানিরা। এতে রেল দুর্ঘটনার আশঙ্কাসহ ফুটপাতের উপর দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জয়দেবপুর রেলগেইট সংলগ্ন রেল লাইনের উপর এবং গাজীপুর শহরের মুক্তমঞ্চ এলাকা থেকে কেবির মার্কেট পর্যন্ত এবং মহিলা কলেজের মোড় থেকে জোড়পুকুর পাড় পর্যন্ত সড়কের ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করে আসছে ভাসমান দোকানিরা। মাঝেমধ্যে পুলিশ এসব অবৈধ হকারদের উচ্ছেদ করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা পূর্বের মতো ব্যবসা শুরু করে দিচ্ছে।
প্রতিদিন শহরের প্রবেশপথ তথা প্রধান সড়ক দিয়ে হাজার হাজার চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকে এ সড়ক দিয়ে। বিশেষ করে বিকাল বেলা ব্যস্ততম এ সড়কটিতে অত্যধিক যানবাহনের চাপে হাঁটাচলা করাই দুষ্কর হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে মাঝে মাঝে পকেটমারদের কবলে পড়তে হয় অনেককে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ সড়কটিতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করলেও এসব অবৈধ হকারদের উচ্ছেদে তেমন তত্পরতা লক্ষ্য করা যায় না।
গাজীপুর রেলক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন ৫২ জোড়া ট্রেন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। ঘন ঘন রেলের গেইট ফেলে রাস্তা বন্ধ করার কারণে ওই এলাকায় সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড যানজট। ফুটপাতটি হকারদের দখলে থাকায় এ সময় সাধারণ মানুষের ফুটপাত দিয়ে হাঁটা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বাদ যাচ্ছে না রেল লাইনও। রেল লাইনের উপর ঝুঁকি নিয়ে দোকান বসাচ্ছে হকাররা। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। ট্রেন চলাচলের সময় তারা সাময়িক স্থান ত্যাগ করলেও পরক্ষণেই তারা রেল লাইনের উপর পুনরায় দোকান সাজিয়ে বসে। দিনের পর দিন ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে থাকায় শহরের সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে রেল লাইনের উপর ও শহরের ফুটপাত থেকে হকার ও ভাসমান দোকানিদের উচ্ছেদ করে অন্যত্র পুনর্বাসনসহ শহরবাসীর নির্বিঘ্নে চলাচলের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহমুদুল হাসান জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া প্রতিদিনই পুলিশ হকারদের রাস্তা ও ফুটপাত থেকে সরিয়ে দিলেও তারা ফের ওই স্থানে বসে যাচ্ছে। এসব হকারদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করা গেলে রাস্তা ও ফুটপাত দখলদার মুক্ত করা সম্ভব হবে।
সুত্র:ইত্তেফাক, ০৪ জুলাই, ২০১৮
Related posts:
৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট রুটে রেল চলাচল স্বাভাবিক
রেলে দুর্নীতির পুরস্কার পদোন্নতি!
রেলের ভূমি উদ্ধারে বাধা মামলা ও রাজনৈতিক চাপ
টাঙ্গাইলে ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুত, ট্রেন চলাচল বন্ধ
রেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আর লোকসান
টার্ন টেবিল থেকে পড়ে গেল নতুন ইঞ্জিন
নতুন রেললাইনে ২০% পাথর কম, দুর্ঘটনার ঝুঁকি
বাড়তি ব্যয়ের প্রস্তাব থেকে ৪৭০ কোটি টাকা কাটছাঁট