শিরোনাম

বিশেষ সংবাদ

এখনো বৈশাখী ভাতা পাননি ছাতক রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ছাতক রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখনো বৈশাখী ভাতা পায়নি। এ বিভাগে সকল অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভাতা পেয়ে গেছেন। ছাতক রেলওয়ের (এ ই এন) নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান নিয়মিত অফিস না করার কারনে এখানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভাতা…


যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধের সময় বাড়ছে

চলতি মাসের ৪ এপ্রিল (শনিবার) পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেলপথ মন্ত্রণালয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় এ সময় আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন রেলসচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন। বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল)…


বাড়তি চাপে হিমশিম খাচ্ছে রেলওয়ে

নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে মানুষ। গত তিনদিন ধরেই রাজধানীর বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেল স্টেশনে উপচে পড়া ভিড়। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনেও একই রকম ভিড় দেখা গেছে। তবে বাসের চেয়ে…


ইঞ্জিনের দামের চেয়ে ১৭% বেশি ঋণ নিচ্ছে রেলওয়ে!

ইসমাইল আলী: এক দশক ঝুলে থাকার পর ৭০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন কেনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে রেলওয়ে। সরবরাহকারীর ঋণে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে ইঞ্জিনগুলো কেনা হবে। এজন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) ও জাপানের সুমিতোমো মিটসুই ব্যাংকিং…


৭০ ইঞ্জিন কেনায় কঠিন শর্তের ঋণ নিয়ে বিপাকে রেলওয়ে

ইসমাইল আলী: বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিনের বড় অংশের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে বহু আগেই। মাঝেমধ্যে পথেই বিকল হয়ে পড়ে এসব ইঞ্জিন। ফলে ২০১১ সালে ৭০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন কেনার উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। তবে এক দশকেও ইঞ্জিনগুলো কেনা সম্পন্ন…


৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে ইউনাইটেড গ্রুপ

সুজিত সাহা : পতিত ও অব্যবহৃত জমি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে রেলের জমিতে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করবে সংস্থাটি। সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) এ প্রকল্পে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে ইউনাইটেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি লিমিটেড। এরই মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। শিগগিরই চুক্তি সম্পাদন শেষে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২০১২ সালের দিকে অব্যবহৃত নিজস্ব জমিতে হাসপাতালসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করে রেলওয়ে। এর পর পরই রেলের জমিতে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও ১০০ সিটের মেডিকেল কলেজ নির্মাণে বেসরকারি অংশীদার নির্বাচনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) সভায় প্রকল্পটি পিপিপিতে বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলের প্রস্তাবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান থেকে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব আ ৫০০ বেড মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল অ্যান্ড আ ১০০ সিট মেডিকেল কলেজ অন বাংলাদেশ রেলওয়ে সিট অ্যাট চিটাগং’ শিরোনামে দরপত্র দলিল প্রস্তুত করা হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ প্রকল্প নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯৮ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের অধীনে ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) এক ধাপ পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করে। নির্ধারিত সময়ে ৩২টি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের ডাটারুমে রেজিস্ট্রেশন করে। দরপত্র খোলার তারিখ ছিল ১৫ মে ২০১৮। তবে দরপত্র দাখিলের শেষ সময়সীমার মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দুটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দলিলের শর্ত পরিপালন করতে না পারায় নন-রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। অন্য দরদাতা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড দরপত্রের সব কারিগরি শর্ত পরিপালন করায় রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের ফিন্যান্সিয়াল বিড উন্মুক্ত করা হয় ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির অনুমোদন পাওয়া যায় একই বছরের ১৪ আগস্ট। এরপর ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর খসড়া চুক্তিপত্র অনুমোদন করে আইন মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই সিসিইএর বৈঠকে পিপিপি প্রকল্পটি পুনরায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পিপিপি চুক্তিপত্র সিসিইএ কমিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো পাঠানো হয়। গত ২৮ জানুয়ারি সিসিইএ কমিটির বৈঠকের পর ১৩ ফেব্রুয়ারি পিপিপি প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়, যা সর্বশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত অনুমোদন দেন। রেলওয়ের প্রকৌশল দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ১২ বছর (নিয়োগের তারিখ থেকে)। চুক্তির সময়কাল ধরা হয়েছে ৫০ বছর (নির্মাণকালসহ)। চুক্তি অনুযায়ী, বেসরকারি অংশীদার বা ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ চুক্তির সময়কালে অবকাঠামোর ডিজাইন, নির্মাণ, অর্থায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। চুক্তির মেয়াদ শেষে পূর্ণাঙ্গ চালু ও ভালো অবস্থায় সামগ্রিক অবকাঠামো সরকারি অংশীদার বা বাংলাদেশ রেলওয়েকে হস্তান্তর করবে। আর্থিক চুক্তি অনুযায়ী প্রাইভেট পার্টনার প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট ফি হিসেবে পিপিপি কর্তৃপক্ষকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা প্রদান করবে। চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বশর্ত হিসেবে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশ রেলওয়েকে ৫ কোটি টাকা প্রিমিয়াম হিসেবে প্রদান করবে। চুক্তি স্বাক্ষরের তিন বছর পূর্তিতে প্রথম বার্ষিক ফি হিসেবে ৭৫ লাখ টাকা, চতুর্থ বছর পূর্তিতে দ্বিতীয় বার্ষিক চুক্তি ফি ৭৫ লাখ টাকা, পঞ্চম বছর পূর্তিতে চুক্তি ফি দেড় কোটি টাকা বাংলাদেশ রেলওয়েকে প্রদান করবে। ষষ্ঠ বছরও একই পরিমাণ ফি প্রদান করবে। তবে এর পর থেকে প্রতি তিন বছর অন্তর চুক্তির মেয়াদকাল পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পের নথি সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণকালে প্রথম পর্যায়ের তিন বছরে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ কমপক্ষে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ২৫০ শয্যার হাসপাতাল কার্যক্রম চালু করবে পরবর্তী অন্তত ২৪ মাসের মধ্যে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ১০ বছরের মধ্যে বেসরকারি অংশীদার ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ ৫০ আসনের মেডিকেল কলেজ এবং চুক্তির নির্ধারিত ১২ বছরের মধ্যে আরো ৫০ আসনের মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু করতে হবে। প্রকল্পের ছয় একর জমির মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২ দশমিক ৪২ একর এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩ দশমিক ৫৮ একর জমি ব্যবহার করবে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. আহসান জাবির বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পিপিপি প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে সিআরবি এলাকায় একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে যাচ্ছে। এটি স্থাপন হলে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা খাত অনেক বেশি উন্নত হবে। প্রকল্পটি অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি থেকে অনুমোদন শেষে প্রধানমন্ত্রীও ইতিবাচক অনুমোদন দিয়েছেন। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে চিঠি এলেই ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হবে। এরপর বিভিন্ন শর্ত পালন সাপেক্ষে বেসরকারি অংশীদারী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হবে।’ জানা গেছে, প্রকল্প এলাকাসংশ্লিষ্ট রেলওয়ের একটি বক্ষব্যাধি হাসপাতাল রয়েছে। এ হাসপাতালে রেল কর্মীরা চিকিৎসাসেবা পেয়ে থাকেন। পিপিপি প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা খাতে নতুন বিনিয়োগ হলেও রেলের পুরনো বক্ষব্যাধি হাসপাতালটি চালু রাখা হবে। বরং রেলকর্মীদের তাত্ক্ষণিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের গতি বাড়াতে পুরনো এই হাসপাতালের কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ করা হবে। তবে সিআরবির নতুন এ হাসপাতালে রেলওয়ে কর্মীরা বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা সুবিধা নিতে পারবেন। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজেও রেলওয়ে কর্মীদের সন্তানরা বিশেষ সুবিধায় পড়াশোনার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উপকারভোগী হিসেবে রেলওয়ে বিভিন্ন দিক বিবেচনায় এনেছে। অন্যান্য বাণিজ্যিক বিনিয়োগের চেয়েও চিকিৎসাসেবা খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ হওয়ায় রেলওয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছে এ প্রকল্পে। ৫০ বছর পর সম্পূর্ণ অবকাঠামোই রেলের অধীন হয়ে যাবে। এ সময়ের মধ্যে প্রকল্প নির্মাণ ব্যয়, ৫০ বছর ধরে মেরামত সংরক্ষণ ও পরিচালন ব্যয় হবে প্রায় ৯৮৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকা। যা রেলের নিজস্ব তহবিল থেকে বাস্তবায়নের সুযোগ নেই। একটি বিশেষায়িত মানসম্মত হাসপাতাল নির্মাণ-পরবর্তী পরিচালন ব্যয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য ব্যয় বহন করা রেলের পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া রেলের এসব জমি বেদখলের পাশাপাশি নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পরিবেশগত বিপর্যয়ও ডেকে আনা হচ্ছে। পিপিপি পদ্ধতিতে চিকিৎসাসেবা খাতে বিনিয়োগের ফলে এ অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা খাতে গুণগত পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ রেলওয়ের সারা দেশে মোট জমির পরিমাণ ৬১ হাজার ৮৬০ একর। এর মধ্যে প্রায় ৭ হাজার একর জমি বেদখলে রয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৮৪১ একর জমির হদিসই নেই রেলের কাছে। গত এক দশকে রেলের ১ হাজার ১৮৫ একর জমি উদ্ধার করা হলেও সেগুলো ফের বেদখলে চলে যায়। সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জমি উদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণে হিমশিম খাওয়া রেলওয়ে কয়েক বছর ধরে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে উদ্যোগী হয়েছে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদে লিজ প্রদানের পরিবর্তে পিপিপি ভিত্তিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানো ছাড়াও বেদখল ভূমি রক্ষার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক কায়েস খলিল খান (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পিপিপিতে রেলকে সঙ্গে নিয়ে নির্মিতব্য হাসপাতালটি হবে টারশিয়ারি লেভেল হাসপাতাল। বিশ্বের স্বনামধন্য হাসপাতালগুলো এই লেভেলে নির্মাণ ও পরিচালনাধীন। চট্টগ্রামের মানুষ হূদরোগের এনজিওগ্রাম করতে যেখানে বিদেশমুখী, সেখানে নতুন এ হাসপাতাল মানুষকে চট্টগ্রামেই বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দেবে।’ অংশীদার হিসেবে রেলওয়ের কর্মীরা ২০ শতাংশ কম অর্থ ব্যয় করে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন। পিপিপি প্রকল্পের এ উদ্যোগ দেশের বিনিয়োগে নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশা করছেন তিনি। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট রেলের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বণিক বার্তাকে বলেন, এতদিন রেলওয়ে লিজ ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় কিংবা ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে রেলের জমি রক্ষা ও রাজস্ব আয় বাড়াতে চেয়েছে। তবে অতীতের নানা জটিলতার কারণে পিপিপির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগে যেতে চাইছে রেলওয়ে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণের চুক্তির দ্বারপ্রান্তে এসেছে রেলওয়ে। আর্থিক লাভ ছাড়াও পরিবেশ ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পিপিপির মাধ্যমে বিনিয়োগে রেলওয়ের নতুন প্রকল্পটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে। তবে চুক্তিতে রেলওয়ে ও সাধারণ মানুষের সেবা প্রদানের বিভিন্ন শর্ত সুনির্দিষ্টভাবে পরিপালন না হলে আর্থিকভাবে লাভবান হলেও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন তারা। রেলের প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন এলেও রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি প্রাপ্তির পর বেসরকারি অংশীদার কোম্পানিকে লেটার অব অ্যাওয়ার্ড (এলওএ) দেয়া হবে। এরপর শর্ত অনুযায়ী অর্থ জমা দেয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রকল্প এলাকার জমি বুঝিয়ে দেয়া হলে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারবে। চলতি বছরের মধ্যেই হাসপাতাল নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তারা। সুত্র:বণিক বার্তা, মার্চ ০২, ২০২০


বিপুল বিনিয়োগ সত্ত্বেও বেড়েছে রানিং টাইম

সুজিত সাহা :গত এক দশকে রেলওয়ে খাতে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে সরকার। কিন্তু এর পরও রেলসেবার মান বাড়েনি উপরন্তু রেল দুর্ঘটনার পরিমাণ বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। বেড়েছে শিডিউল বিপর্যয়ের প্রবণতাও। এর সঙ্গে আবার সম্প্রতি রানিং টাইম (প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে গন্তব্যে পৌঁছার সময়) বাড়ানো হয়েছে ৫০ শতাংশ ট্রেনের। প্রকল্পের পর প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও এভাবে রানিং টাইম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিতে রেলসেবা মানের ক্রমাগত নিম্নমুখিতারই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রেলওয়ের সর্বশেষ প্রকাশিত ওয়ার্কিং টাইম টেবিল (ডব্লিউটিটি) অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের ৪৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে ২১টির রানিং টাইম বাড়ানো হয়েছে। সামান্য কমেছে ১৬টি ট্রেনের রানিং টাইম। অপরিবর্তিত রয়েছে আটটির। অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ৪২টি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে রানিং টাইম বেড়েছে ১৮টির। কমেছে ১৪টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির। উভয় অঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে কোনো কোনো ট্রেনের রানিং টাইম সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে রানিং টাইম কমে যাওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে বেশির ভাগের সময় কমেছে মোটে ৫ থেকে ২০ মিনিট। দেশের রেল খাতে বিনিয়োগের মাত্রা বরাবরই ঊর্ধ্বমুখী। ২০০৭-১০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের তিন বছর বিনিয়োগ প্রোগ্রামে বিনিয়োগ হয়েছে ২ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা। এরপর ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১১-১৫) খাতটিতে বিনিয়োগের লক্ষ্য রাখা হয় ৪৩ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। চলমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৬-২০) এ লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। বিনিয়োগ ও বিনিয়োগ পরিকল্পনায় বরাদ্দের পরিমাণ ক্রমে বাড়লেও রানিং টাইম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিতে এর কোনো প্রতিফলনই নেই। রেলসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিপুল বিনিয়োগের পরও ব্যবস্থাপনাগত নানা অসংগতি ও দুর্নীতির কারণেই রানিং টাইম বাড়ছে। অন্যদিকে রেলের পরিকল্পনা ও পরিবহন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, রেলের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প শেষ হলেও তা সুষম হয়নি। ট্র্যাকের উন্নয়ন করার পাশাপাশি নতুন কোচ আনা হলেও অধিকাংশ ইঞ্জিনই মেয়াদোত্তীর্ণ। এছাড়া সিংহভাগ সেতু, কালভার্ট এখনো জরাজীর্ণ। স্টেশন বন্ধ থাকায় কাঙ্ক্ষিত গতি পাচ্ছে না ট্রেনগুলো। এসব কারণে সেকশন অনুযায়ী ট্রেন চালানোর সক্ষমতা কমে যাওয়ায় ট্রেনের রানিং টাইম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। রেলওয়ের সর্বশেষ টাইম টেবিল বাস্তবায়ন হয়েছে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি। এর আগের টাইম টেবিলটি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল ২০১৭ সালের ১ মার্চ। প্রতি বছর সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করে নতুন টাইম টেবিল বাস্তবায়নের কথা থাকলেও এবার নতুন টাইম টেবিল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সময় লেগেছে ২ বছর ১০ মাস। এ সময়ে রেলওয়ের একাধিক বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন ছাড়াও নতুন নতুন কোচ সংযোজন, ট্র্যাক সংস্কার, কালভার্ট ও ব্রিজ সংস্কার, নতুন নতুন সেতু নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় রেলের প্রায় প্রতিটি ট্রেনের সময়সূচিতেই রানিং টাইম কমে আসার কথা ছিল। দেশের জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ রেলরুট ঢাকা-চট্টগ্রাম। যাত্রীদের ঘনত্বও অনেক বেশি রুটটিতে। এখানে প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয় ১৯৮৫ সালের দিকে। সে সময় এ রুটে যাত্রী চলাচলে সময় লাগত খুবই কম। পরবর্তী সময়ে রেলের বিনিয়োগ ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বাড়লেও এ রুটে ট্রেনের রানিং টাইমও বেড়েছে। বিভিন্ন সময় কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েও রানিং টাইম কমাতে পারেনি রেলওয়ে। যদিও এরই মধ্যে ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল রুটটিতে দুটি ডাবল ট্র্যাকের সেতু (তিতাস ও ভৈরব) নির্মাণ হয়েছে। ডাবল লাইন হয়েছে লাকসাম থেকে চিনকি আস্তানা পর্যন্ত এবং টঙ্গী থেকে ভৈরব বাজার পর্যন্ত রেলপথ। অন্যদিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেলপথ ডাবল লাইন ছিল আগে থেকেই। এছাড়া এ রুটের পুরনো ট্র্যাকগুলোও সংস্কার করা হয়েছে। তার পরও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বিরতিহীন ট্রেনের রানিং টাইম ৫ ঘণ্টার নিচে নামিয়ে আনতে পারেনি রেলওয়ে। বরং সর্বশেষ প্রণীত টাইমটেবিলে বিরতিহীন সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের রানিং সময় ১০ মিনিট করে বাড়িয়ে ৫ ঘণ্টা ২০ মিনিট করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, রেলের অনেক চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। ফলে নতুন ট্র্যাক, কোচ ও একাধিক উন্নয়ন হলেও অস্থায়ী গতি নিয়ন্ত্রণাদেশের কারণে ট্রেনের গতি কমে যায়। তাছাড়া ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়সহ বিভিন্ন কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ট্রেনের রানিং সময় বাড়ানো হয়েছে। ট্র্যাক, সেতু, কালভার্টসহ একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শেষ হলে আগামীতে এসব বর্ধিত রানিং টাইম সমন্বয় করা হবে।  সুত্র:বণিক বার্তা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০


নির্মাণকাজে গতি না থাকলেও বাড়ছে ঠিকাদার নিয়োগ ব্যয়

ইসমাইলআলী: খুলনা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১০ সালের ডিসেম্বরে। তিন বছরের মধ্যে তা কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার নিয়োগ হয় ২০১৫ সালের অক্টোবরে। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০১৮ সালের জুনে প্রকল্প…


রেলের নতুন শিডিউলে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী কমছে

আহমেদ সাঈদ বুলবুল : নতুন শিডিউলের পর খুলনা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী জনপ্রিয় আন্তঃনগর ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রীসংখ্যা কমতে শুরু করেছে। নতুন শিডিউলের কারণে এমনটি হচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী) সুন্দরবন এক্সপ্রেস…


ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না, অথচ আসন খালি থাকে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ট্রেনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ট্রেনে টিকিট কাটতে গেলে টিকিট পাওয়া যায় না। অনেকে টিকিট না কেটে ভ্রমণ করেন। আবার ট্রেনে আসন খালি থাকছে।আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সাংসদ…