শিরোনাম

সম্পাদকীয়

পণ্য পরিবহনে নৌ ও রেলপথ প্রাধান্য পাক

পণ্য বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ বিনির্মাণের সঙ্গে পরিবহনে ব্যবহূত মাধ্যমটির নিবিড় আন্তঃসম্পর্ক বিরাজমান। যত কম খরচে, নির্ঝঞ্ঝাটে ও দ্রুততম সময়ে পণ্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পরিবহন করা যায়, যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য তত বেগবান হয়। এটি বাংলাদেশের জন্যও সত্য। বদ্বীপ ও নদীমাতৃক হওয়ায় আমাদের দেশের প্রকৃতিদত্ত একটি আপেক্ষিক সুবিধা হলো সুবিস্তৃত নৌপথ। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা নদীগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে সংযুক্ত। উৎসস্থল ও সমুদ্র মোহনায় মিলিত হওয়ার স্থান ছাড়া নদীর চলার পথ অন্তহীন। ফলে যেকোনো জায়গায় নির্বিঘ্নে পণ্য পৌঁছানো যায়। স্বাভাবিকভাবে অতীতে তাই পণ্য পরিবহনে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে নদীপথ। এদিকে বাংলাদেশের আরেকটি আপেক্ষিক সুবিধা হলো ঔপনিবেশিক শাসনের সুবাদে প্রাপ্ত রেলপথ। ব্রিটিশ আমলেই এ অঞ্চলের বাণিজ্য ও কৃষির দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জনপদই রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তা আরো বিস্তৃত হয়েছে। একসঙ্গে বেশি পণ্য বহনের সুযোগ এবং নিরাপদ ও ব্যয়সাশ্রয়ী মাধ্যম হওয়ায় সংগত কারণে এমনকি মধ্য আশির দশক পর্যন্ত রেলপথ ছিল অভ্যন্তরীণ পণ্য বাণিজ্যের প্রাধান্যশীল যোগাযোগের ধরন। বলা চলে, উল্লিখিত দুটি মাধ্যমেই ছিল আমাদের পণ্য পরিবহনের প্রধান ভরসা। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, সময়ের পরিক্রমায় এক্ষেত্রে বড় ধরনের ছেদ ঘটে পণ্য পরিবহন এখন অতিমাত্রায় সড়কনির্ভর। এতে বাড়ছে ব্যয়। তুলনামূলক বিচারে দক্ষিণ এশিয়ায় সড়কপথে বাংলাদেশে ব্যয় অনেক বেশি। এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, সাত টনের বাহনে সড়কপথে কিলোমিটারপ্রতি খরচ বাংলাদেশে যেখানে সাড়ে ৯ সেন্ট, সেখানে ভারত ও পাকিস্তানে এ ব্যয় আড়াই সেন্টেরও কম। তার মানে এখানে প্রতিবেশী দেশ দুটির চেয়ে পরিবহন খরচ তিন গুণেরও বেশি। এটিও পুরো চিত্র নয়। দেশের সড়কভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থা ভয়াবহ বিশৃঙ্খল। পথে পথে নানা ধরনের চাঁদা, অন্যায্য মাশুল আদায়ের হয়রানি। এটি হিসাবে আনলে প্রকৃত ব্যয় আরো বেশি হবে। তদুপরি রয়েছে ভাঙাচোরা সড়ক ও ফেরিঘাটের যানজটের বাড়তি ভোগান্তি। ফলে বড় শহরগামী পণ্য বোঝাই করা ট্রাকগুলোর সংশ্লিষ্ট বাজারগুলোয় পৌঁছতে সময় লাগছে বেশি। এতে বিশেষত কৃষিপণ্যের একটা অংশ নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকছে। এটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুফলের দিক থেকে কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। সুতরাং পণ্য পরিবহন সড়কনির্ভরতা কমানোর সময় এসেছে। তুলনামূলক সুবিধা সত্ত্বেও নৌপথ ও রেলপথের বিপরীতে বর্তমানে সড়ক পরিবহনের প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠার কিছু বাস্তবিক কারণ বিদ্যমান। এর মধ্যে দ্রুততম সময়ে পণ্য পৌঁছানো এবং গ্রাম পর্যন্ত সড়কের বিস্তৃতি প্রধান কারণ। সরকার সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে বেশি জোর দেয়ায় এমনকি প্রত্যন্ত এলাকায়ও সড়কের সম্প্রসারণ ঘটেছে। ফলে সবাই সড়কমুখী হয়েছে। এতে সড়কে পরিবহন খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি যানজটও ভয়াবহ মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। উপরন্তু বেশির ভাগ পণ্যবাহী গাড়িই নির্ধারিত ওজনসীমার চেয়ে বেশি পণ্য পরিবহন করায় সড়ক-মহাসড়কের ক্ষতি করছে। কমছে সড়কের আয়ুষ্কাল। স্থায়িত্বের বিবেচনায়ও সড়কনির্ভরতা ব্যয়সাশ্রয়ী নয়। কাজেই এ প্রবণতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।  সড়কে পণ্য পরিবহনের দৃশ্যপটে পরিবর্তন আনতে হলে নৌপথ ও রেলব্যবস্থাকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। নাব্যতা সংকটে নদীগুলো ভরাট হয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের দ্বারা বেদখলের শিকার হয়েছে। ফলে নদী ও নৌপথগুলো আজ ক্রমসংকোচনের পথে। নৌপথগুলোকে সচল করতে হলে ক্যাপিটাল ড্রেজিংপূর্বক নাব্য সংকট দূর করতে হবে। আবার নদীবন্দরগুলোরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত নদীরবন্দরগুলো অনেকটা অবহেলায় পড়ে আছে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সংস্কার করে সেগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। নদীপথের সঙ্গে সড়কপথের সহজ সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে বন্দরে পৌঁছে স্বল্প দূরত্বের সড়ক ব্যবহার করে পণ্য সঠিক সময়ে সুষ্ঠুভাবে বাজারে পৌঁছতে পারে। সর্বোপরি, উন্নয়ন পরিকল্পনায় নদীকে প্রাধিকার দিতে হবে। সমরূপভাবে রেল ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজাতে হবে। বিগত বছরগুলোয় রেল খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ হয়েছে উন্নত সেবা জোগাতে। এক্ষেত্রে অবশ্য বেশি প্রাধান্য পেয়েছে যাত্রী পরিবহন। স্বভাবত রেলের যাত্রী বেড়েছেও আগের তুলনায়। কিন্তু রেলে পণ্য পরিবহনের বিষয়টি নীতিনির্ধারণী মহলে খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। যদিও চলমান মহামারীর মধ্যে পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে কিছুদিন আগে সহায়ক ভূমিকায় দেখা গেছে রেলপথকে। এটি মাথায় নিয়ে পরিকল্পনা নিতে হবে। রেলপথের আরো সম্প্রসারণের সঙ্গে প্রধান প্রধান জংশন এবং গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোর সঙ্গে সড়ক অবকাঠামোর সংযোগ ঘটাতে হবে। এমনটি হলে ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনে রেলপথ ব্যবহারে উদ্যোগী হবে বৈকি। ভৌগোলিকভাবে সমরূপ দেশ, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো কীভাবে নৌ ও রেলনির্ভর একটি ব্যয়সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, সেই অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সহায়ক হতে পারে। সঠিক নীতি পরিকল্পনায় পণ্য পরিবহনে নৌ ও রেলপথের পুনরুজ্জীবনে সরকার যথাযথ উদ্যোগ নেবে বলে প্রত্যাশা। সূত্র:বণিক বার্তা, অক্টোবর ০৩, ২০২০


রেল সেতু নির্মাণ ও সংস্কারে আশু উদ্যোগ প্রয়োজন

দেশের বেশিরভাগ রেল সেতু ব্রিটিশ আমলে নির্মিত। ৯০ শতাংশেরই আয়ুষ্কাল শেষ। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে বিঘœ ঘটে। শত বছরের পুরোনো সেতু প্রায়ই মেরামত করতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ-জরাজীর্ণ ও জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা সেতুর…


বাংলাদেশ রেলওয়েঃ চিন্তার ক্ষেত্র প্রসারিত করুন

আতিকুর রহমান: ভারতের রেলওয়ে যাত্রীদেরকে শুধু গ্রাহক হিসেবে নয় বরং বিজনেস পার্টনার, কেয়ার টেকার, গার্ডিয়ান এবং প্রটেক্টর হিসেবে বিবেচনা করেন। যার ফলশ্রুতিতে সাধারন একটি বিষয়েও যাত্রীদের অভিমত গ্রহন করা হয়। কোন ধরনের টিকিট ব্যবস্থায় তারা…


হার্ডিঞ্জ ব্রিজ : মুক্তিযুদ্ধের ক্ষত আর শত বছরের গৌরব

আতিকুর রহমান: হার্ডিঞ্জ ব্রিজ উদ্বোধনের সময় এর প্রধান প্রকৌশলী স্যার রবার্ট উইলিয়াম গেইলস বলেছিলেন- ‘যে সেতু নির্মাণ করে দিয়ে গেলাম, উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এ সেতু চিরযৌবনা হয়ে থাকবে।’ আজ গেইল নেই, নেই লর্ড হার্ডিঞ্জ।…


দক্ষতা বাড়াতে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করুন

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনবলের স্বল্পতা নতুন নয়, বিশেষত এটি সংকটে রূপ নিয়েছে সেবা প্রদানকারী সংস্থায়। পানি বা বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার পাশাপাশি সড়ক ও রেল যোগাযোগে নিয়োজিত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে দক্ষ কর্মীর স্বল্পতা সংকটে রূপ নিয়েছে। যে কারণে দুর্ঘটনা সংঘটন থেকে শুরু করে সেবা কার্যক্রম মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে। রেল দুর্ঘটনার এক তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বণিক বার্তায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, একের পর এক রেল দুর্ঘটনার জন্য রেলকর্মীদের অদক্ষতাই মূলত দায়ী। বাংলাদেশ রেলওয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে বিপুল ব্যয় করা হলেও এ খাতের জনবল সংকটের ব্যাপারে খুব সামান্যই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাকিস্তান আমলের পাঠ্যক্রম দিয়ে এখনো রেলকর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে, যা দক্ষ জনবল তৈরির পথে বড় অন্তরায়। রেলওয়ের উন্নয়নে অবকাঠামোর দিকেই শুধু লক্ষ না রেখে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর দিকেও সরকারের নজর দেয়া দরকার। অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে জনবলের সক্ষমতা উন্নয়নের দিকেও আমাদের লক্ষ্য থাকা উচিত। অতীতে রেলের পৃথক কর্মচারী রিক্রুটমেন্ট বোর্ড ছিল; যা মোটামুটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকরভাবে কর্মসম্পাদন করত বলে আজো সুনাম আছে। তত্কালীন সরকার শুধু কর্মী ছাঁটাই করেই ক্ষান্ত হয়নি, দুর্নীতির সুযোগ প্রশস্ত করার জন্য রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ওপর নিয়োগ প্রদানের দায়িত্ব ন্যস্ত করে দেয়; যাদের কোনো জবাবদিহিতা ছিল না। ফলে কার্যত সে সময় থেকেই রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘটে যায়। ভবিষ্যতে রেলপথও বাড়বে। কিন্তু সে তুলনায় নিরাপদ হয়নি রেল যোগাযোগ। রেলপথের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। প্রায় দুই কিলোমিটার পরপর রেলপথ দেখভাল করে রেলের কর্মী বাহিনী। সংশ্লিষ্ট কর্মীরা রেলপথে এক পাশ দিয়ে একবার হেঁটে অন্য পাশ দিয়ে ফিরে আসেন। তাতে নাটবল্টু, ক্লিপ, ফিশপ্লেট ঠিকঠাক আছে কিনা ধরা পড়ে। নুড়িপাথর না থাকলে ঊর্ধ্বতনদের জানানোর দায়িত্ব একদল কর্মীর। কিন্তু তারা যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না বা দক্ষতার অভাবে ত্রুটি চিহ্নিত করতে পারছেন না। ভারতেও একসময় রেলের অবস্থা খারাপ ছিল। ভারত সরকারের মোহন কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছিল, যেভাবে চলছে তাতে ভারতীয় রেলওয়ে খুব দ্রুত দেউলিয়া হয়ে যাবে। কিন্তু ২০০৪ থেকে ভারতীয় রেলওয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে যাত্রীভাড়া কমায়। ছাঁটাইয়ের বদলে ২০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়। কারখানা বেসরকারীকরণের বিপরীতে ডিজেল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন, চাকা, যাত্রীবাহী কোচ তৈরির সক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়। নতুন কারখানা নির্মাণের পাশাপাশি রুগ্ণ কারখানা অধিগ্রহণ করা হয়। যাত্রীভাড়া কমিয়ে ও সেবা বাড়িয়ে লাভজনক করা হয়। পণ্য পরিবহনের উন্নয়ন ঘটিয়ে রেলের আয় কয়েক গুণ বাড়ানো হয়। ভারতে যদি রেলের এই উন্নতি সাধন সম্ভব হয়, তাহলে বাংলাদেশে তা না হওয়ার কোনো কারণ নেই। আন্তরিকভাবে চাইলে অবশ্যই রেলকে লাভজনক করা সম্ভব। সেজন্য বিদ্যমান সম্পদ ও অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শুধু দুর্ঘটনা রোধ নয়, যাত্রী ও পণ্যসেবা নিশ্চিতেও কর্মীর দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন। গত পাঁচ বছরের দুর্ঘটনা বিশ্লেষণ করে এর দুটি কারণ পাওয়া যায়। প্রথমত, মানবিক ভুল (হিউম্যান এরর); দ্বিতীয়ত, কারিগরি ত্রুটি। গড়ে ৮০ শতাংশের বেশি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মানুষের ভুল। অর্থাৎ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ভুলে বা অবহেলায় দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষের ভুলের মধ্যে রয়েছে লাইন পরিবর্তনের জোড়া (পয়েন্টস) ভুলভাবে স্থাপন করা ও ভুল সংকেত দেয়া। এ কাজগুলো সাধারণত স্টেশনমাস্টার ও তার অধীন ব্যক্তিদের। সংকেত ও যথাযথ গতিনির্দেশিকা না মেনে ট্রেন চালান চালক ও সহকারী চালকরা। মানুষের ভুল এড়ানো সম্ভব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়িয়ে। কড়া শাস্তি দিয়েও দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায়। কিন্তু রেলে মানুষের করা ভুল শোধরানোর জন্য তেমন কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। আর শাস্তি কেবল নিচের দিকের কর্মীদের হয়। তদন্তে বড় কর্মকর্তাদের নাম আসে না, শাস্তিও হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে কারিগরি ত্রুটি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও লোকবল আছে। একের পর এক ভুল হতে থাকলেও কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে রেলের তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কয়েক বছর ধরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করছে সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। রেলের সঙ্গে করা চুক্তি অনুসারে, প্রতি কর্মীর বছরে অন্তত ৬০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ নেয়ার কথা। কিন্তু এটি সঠিকভাবে পরিপালন করা হচ্ছে কিনা, সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত মেলে না। নব্বইয়ের দশকে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে রেলে বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাই হয়। ওই সময় যেসব কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়, তাদের বেশির ভাগই ছিলেন কারিগরিভাবে বেশ দক্ষ। পরবর্তী সময়ে সেই দক্ষ জনবলের ঘাটতি আর পুষিয়ে উঠতে পারেনি রেলওয়ে। নতুন জনবল এলেও তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতি, কর্মীদের প্রয়োজনীয় নজরদারি ও জবাবদিহিতার মধ্যে রাখতে না পারাসহ বিভিন্ন কারণে রেলকর্মীদের দক্ষতায় বড় ধরনের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। রেল দুর্ঘটনা কমানো ও সংস্থাটি লাভজনক করতে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও শূন্য থাকা কারিগরি পদগুলো দ্রুত পূরণের কোনো বিকল্প নেই। সুত্র:বণিক বার্তা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০


রেলওয়ের ভূসম্পত্তির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করুন

দীর্ঘভ্রমণে নিরাপদ যাতায়াতে ট্রেন মানুষের প্রথম পছন্দ। পরিবেশবান্ধব ও অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী হওয়ায় এটি পণ্য পরিবহনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক, নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও যাত্রীসেবামূলক গণপরিবহন হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রেলের…


যমুনা রেল সেতু কাজ শুরুর আগেই ব্যয় বৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য নয়

উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে বঙ্গবন্ধু সেতু। সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি রেলসংযোগ রাখা হয় সেতুটিতে। তবে ব্রিজটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় পাশে বিকল্প রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় কয়েক বছর আগে। সে অনুযায়ী…


ডেমু ট্রেনের বেহাল দশা

বাংলাদেশের মতো জনঘনত্বের দেশে রেল হইতে পারিত আদর্শ যোগাযোগমাধ্যম। কারণ রেল একই সাথে সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আরামদায়ক; কিন্তু তাহা হয় নাই। রেল আমাদের দেশে লাভজনক নহে। ২০১৩ সালে চালু হওয়া ডেমু ট্রেনের ক্ষেত্রেও ইহার ব্যতিক্রম…


রেলের মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন

সুলভ ও আরামদায়ক ভ্রমণ হিসেবে রেলের বিকল্প নেই বললেই চলে; কিন্তু সবচেয়ে বেশি সম্পদশালী সরকারি সংস্থা হওয়ার পরও আমাদের রেলওয়ে সত্যিকারার্থে যাত্রীবান্ধব ও আরামদায়ক গণপরিবহন হয়ে উঠতে পারেনি। বর্তমানে তো ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে…


বেশি দামে রেল কোচ কেনার ডিপিপি যাচাই করুন

দীর্ঘভ্রমণে নিরাপদ যাতায়াতে ট্রেন মানুষের প্রথম পছন্দ। পরিবেশবান্ধব ও অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী হওয়ায় এটি পণ্য পরিবহনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক, নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও যাত্রীসেবামূলক গণপরিবহন হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রেলের…